জ্ঞান সীমাবদ্ধ। শুধু আল্লাহ জ্ঞানের আধার। যে আধার থেকে যৎসামান্য জ্ঞান আল্লাহ পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন। মানুষের সসীম জ্ঞান দোয়া ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে বৃদ্ধি হয়। তাই সর্বাবস্থায় বান্দার উচিত তার রবের কাছে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা। পবিত্র কোরআনে এমন কিছু দোয়া রয়েছে—যেগুলোর আমল করলে আল্লাহ মানুষের পড়া মনে রাখার শক্তি বাড়িয়ে দেন।
رَبِّ উচ্চারণ : রব্বি জিদনি ইলমা। অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করো।’ (ত্বা-হা : ১১৪) زِدْنِي عِلْمًا অপর দোয়াটি হলো— ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﻻَ ﻋِﻠْﻢَ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻋَﻠَّﻤْﺘَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ উচ্চারণ : সুবহা নাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা, ইন্নাকা আনতাল আ’লিমুল হাকিম। অর্থ : (হে আল্লাহ) আপনি পবিত্র! আমরা কোনো কিছুই জানি না, তবে আপনি আমাদের যা শিখিয়েছন (সেগুলো ছাড়া) নিশ্চয়ই আপনিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা। (সুরা বাকারা : ৩২)
হাদিসে এসেছে : মুআবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনি জ্ঞান দান করেন।’ (বুখারি : ১/১৩৮৪)
অর্থাৎ মহান আল্লাহর কাছে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে হবে। কীভাবে দোয়া করতে হবে, সেটাও মহান রব শিখিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা ত্ব-হার ১১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا উচ্চারণ : রব্বি জিদনি ইলমা।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করো।
আল্লাহ অন্যত্র বলেন—
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ উচ্চারণ : কুল, হাল ইয়াছতাওয়িল্লাজিনা ইয়ালামু না ওয়াল্লাজিনা লা ইয়ার্’লামুন। অর্থ : বলো, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? (সুরা জুমার : ৯) আল্লাহ আরও বলেন—
يَرْفَعِ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَالَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ دَرَجَاتٍ উচ্চারণ : ইয়ারফাউল্লাহুল্লাজিনা আউতুল ইলমা দারজাত। অর্থ : যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাদের আল্লাহ বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন। (সুরা মুজাদালা : ১১) তিনি অন্য জায়গায় বলেন—
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ উচ্চারণ : ইন্নামা ইয়াখশাল্লাহু মিন য়িবা দিহিল উলামা। অর্থ : আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাকে ভয় করে থাকে। (সুরা আল ফাত্বের : ২৮)
১. আল্লাহর সাহায্য কামনা করা ২. নেক নিয়ত লালন করা ৩. আল্লাহর সামনে বিনয়ী হওয়া এবং সফলতার জন্য দোয়া করা ৪. একটি ন্যায়নিষ্ঠ অন্তর লালন করা ৫. মেধা, যা অর্জনের জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানো ৬. উৎসাহ, পরিশ্রম ও লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে ৭. সর্বোচ্চ প্রয়াসের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে ৮. একজন ভালোমানের শিক্ষকের সান্নিধ্যে থাকা এবং ৯. জ্ঞানার্জনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
মন্তব্য করুন