মহান আল্লাহর কাছে চাওয়া এবং দোয়া করাকে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের মতো আলাদা দোয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চই দোয়া-ই ইবাদত।’ এরপর তিনি উপরে উল্লিখিত আয়াত তেলাওয়াত করেন।...(তিরমিজি : ২৯৬৯)
অপর এক হাদিসে তিনি দোয়াকে ইবাদতের মগজ বা মূল বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘দোয়া ইবাদতের মগজ।’ (তিরমিজি : ৩৩৭১)।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘আল্লাহর নিকট বান্দার দোয়ার চেয়ে অধিক প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ জিনিস আর নেই।’ (তিরমিজি : ৩৩৭০)
আল্লাহ তায়ালা নিজেও বান্দাদের বেশি বেশি দোয়া করতে বলেছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের রব বলেন; তোমারা আমার নিকট দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। নিশ্চই যারা আমার ইবাদতে (আমার নিকট দোয়া করতে) অহঙ্কার করে, তারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সূরা মুমিন, আয়াত, ৬০)
দোয়া আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের বড় হাতিয়ার। রাসূল সা: বলেন, ‘যার জন্য দোয়ার দরজা খুলে দেয়া হয়েছে (অর্থাৎ, যাকে দোয়া করার তাওফিক দান করা হয়েছে) তার জন্য রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয়েছে।’ (তিরমিজি : ৩৫৪৮)
দিনের বেশ কিছু মুহূর্তের দোয়া আল্লাহ তায়ালা বিশেষ গুরুত্বসহকারে শুনেন এবং কবুল করেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি মুহূর্ত হলো- শেষ রাত, ফজর নামাজের পরের দোয়া।
এ বিষয়ে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে (যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে) দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তিনি তখন বলেন, ‘আছ কি কোনো আহ্বানকারী? আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছো, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব? কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৫৮)
অপর এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘একবার রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি উত্তর দিলেন, ‘রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯৮)
মন্তব্য করুন