রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রমজান মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ

রমজান মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ: ইবাদত, রহমত, ও মাগফিরাতের মাস
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

ইবাদতের বিশেষ মৌসুম রমজান মাস । রমজান রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজানের প্রধান ইবাদত ‘সিয়াম’ বা রোজা রাখা। রমজানের মূল প্রতিপাদ্য ‘আল–কোরআন’।

সিয়াম বহুবচন। এর একবচন হলো ‘সাওম’, যার অর্থ বিরত থাকা। ফারসি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় সাওম বা সিয়ামকে ‘রোজা’ বলা হয়।

রমজান মাসের বিশেষ উপহার তারাবির নামাজ। রমজানের খাস পুরষ্কার ‘শবে কদর’। এ মাসে প্রতিটি নেক আমলের ফজিলত ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। একেকটি নফল ইবাদতের সওয়াব অন্য মাসের ফরজ ইবাদতের সমতুল্য।

প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাস আসে, তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়; শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।’ (বুখারি, খণ্ড: ৩, হাদিস: ১,৭৭৮)।

মাহে রমজান বছরের বাকি এগারো মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের বিশেষত্ব অনেক বেশি।

রমজান মাসেই মানুষ ও জিন জাতির মুক্তির সনদ কুরআন মজীদ একত্রে লাওহে মাহফূয থেকে প্রথম আসমানে বাইতুল ইযযতে অবতীর্ণ হয় এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সর্বপ্রথম এ মাসেই ওহী অবতীর্ণ হয়।

কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- (তরজমা) ‘রমযান মাসই হল সে মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ। -সূরা বাকারা ১৮৫

রমজান মাসে রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রমযান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/২

অন্য এক হাদীসে এ মাসের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসের শুভাগমন উপলক্ষে জান্নাতের দরজাসমুহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয়।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/১

রমজান মাস জাহান্নাম থেকে নাজাত লাভের মাস। সুতরাং বেশি বেশি ইবাদত ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে মুক্তির পরওয়ানা লাভ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।’ -মুসনাদে আহমদ হাদীস ২১৬৯৮

আখেরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য আখেরাতের সওদা করার উত্তম মৌসুম হল এই রমজান মাস। কেননা এ মাসে প্রতিটি আমলের অনেক গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘রমজানের ওমরা হজ্জ সমতুল্য।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬

অর্থাৎ এ মাসে নফল আদায় করলে অন্য মাসের ফরযের ন্যায় সওয়াব হয়। আর এ মাসের এক ফরযে অন্য মাসের ৭০ ফরযের সমান ছওয়াব পাওয়া যায়।

এ তো হল রোজা ছাড়া এ মাসের অন্যান্য আমলের ছওয়াব। আর রোজার ছওয়াব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা নিজেই ইরশাদ করেন- (তরজমা) ‘নিশ্চয় রোজা আমার জন্য, আর এর প্রতিদান স্বয়ং আমিই দিব।’ সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৫

এ ছওয়াবের পরিমাণ যে কত তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। রমযান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের মাস। তাই এমন মাস পেয়েও যে ব্যক্তি স্বীয় গুনাহ মাফ করাতে পারল না তার জন্য স্বয়ং জিবরাঈল আ. বদদুআ করেছেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাহমাতুল্লিল আলামিন হয়েও আমীন বলে সমর্থন জানিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠে আমীন, আমীন, আমীন বললেন।

তাঁকে বলা হল, হে রাসূল! আপনি তো এরূপ করতেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, জিবরাঈল আমাকে বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম, আমীন।

অতঃপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমযান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম, আমীন।

জিবরাঈল আবার বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হল অথচ সে আমার উপর দুরূদ পড়ল না। আমি বললাম, আমীন। -আল আদাবুল মুফরাদ : ২২৫, হাদীস ৬৪৬; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৯০৮

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে রমযানের হক আদায় করার তওফীক দান করুন এবং নবীজীর অভিসাপ থেকে রক্ষা করুন। আমীন!

রমজানের করণীয়:

* রোজা : রমযান মাসে রোজা রাখা ফরয। এটা রমজান মাসের বিশেষ আমল। সকল আদব রক্ষা করে পুরো মাস রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।

* তারাবীর সালাত : রমজানের রাতের বিশেষ আমল হল কিয়ামে রমযান তথা বিশ রাকাত তারাবীহ। এ মাসের অফুরন্ত রহমত ও মাগফিরাত লাভ করার জন্য এবং প্রতিশ্রুত সওয়াব ও পুরস্কার পাওয়ার জন্য তারাবী নামাযের প্রভাব অপরিসীম।

* দান-সদকা করা : দান-সদকা সর্বাবস্থাতেই উৎকৃষ্ট আমল, কিন্তু রমজানে দান-সদকার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমযান মাসে তাঁর দানের হস্ত আরো প্রসারিত হত।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২

* কুরআন মজীদ তেলাওয়াত : রমজান মাস কুরআন অবতরণের মাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাইল আ.-এর সাথে রমজানের প্রত্যেক রাতে কুরআন মজীদ দাওর করতেন।

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘হযরত জিবরাইল আ. রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে নবী করিম (সা.)-এর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন মজীদ শোনাতেন।’-সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০২

অতএব আমাদের সকলের উচিত রমজানে অধিক পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করা। অন্তত একবার হলেও কুরআন খতম করা।

* নফল ইবাদত : রমজান মাসে শয়তান শৃংখলাবদ্ধ থাকে। এই সুযোগে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায়।

এ মাসে যে কোনো ইবাদত নিয়মিত করতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয় না এবং পরবর্তীতে তা সহজেই অভ্যাসে পরিণত হয়। সুতরাং যিকির-আযকারের সঙ্গে অধিক পরিমাণে নফল নামায আদায় করা উচিত। অন্তত বিভিন্ন সময়ের নফল নামাযগুলো আদায় করা যেমন-ইশরাক, চাশত ও তাহাজ্জুদ ইত্যাদি।

* দুআ করা : এ মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও জান্নাত লাভের মাস। তাই বেশি বেশি আল্লাহ তাআলার শরণাপন্ন হয়ে কান্না-কাটি করে দুআ করা একান্ত কাম্য।

* মাগফিরাত কামনা করা : যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গুনাহসমূহ ক্ষমা করাতে পারল না তার উপর জিবরাইল আ. ও দয়ার নবী করিম (সা.) অভিসাপ করেছেন।

তাই জীবনের করা সকল গুনাহের কথা স্মরণ করে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করা এবং আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা মন্জুর করিয়ে নেওয়ার এটিই উত্তম সময়।

বিশেষ করে ইফতার ও তাহাজ্জুদের সময় আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা চাওয়া এবং দুআ করা। এই সময় দোয়া বেশি কবুল হবার সম্ভাবনা থাকে।

* ই’তিকাফ : শেষ দশকের মাসনূন ই’তিকাফ অত্যন্ত ফযীলতের আমল। হাদীস শরীফে এসেছে- ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ২০২১; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৭১

* শবে কদর অন্বেষণ : ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করে সহস্র রজনী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও উত্তম রাত-লাইলাতুল কদর তালাশ করা কর্তব্য। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-

‘নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি। আর আপনি কি জানেন শবে কদর কী? শবে কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদ্স (জিবরাঈল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করে। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ -সূরা কদর

রোজার ফযীলত:

প্রত্যেক নেক আমলের বিভিন্ন ফযীলত ও সওয়াব রয়েছে যা দ্বারা মহান রাব্বুল আলামীন আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি একেবারেই স্বতন্ত্র। কারণ রোজার বহুবিধ প্রতিদান ছাড়াও এ বিষয়ে একটি ঘোষণা রয়েছে। রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেন -

‘মানুষের প্রত্যেকটি আমলকে বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকী (সওয়াব) ১০ গুণ থেকে (ক্ষেত্র বিশেষে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। সুতরাং তার প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’- সহীহ বুখারী, হাদীস ১৮৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৪

* রোজা কিয়ামতের দিবস সুপারিশ করবে

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রোজা ও কুরআন মজীদ কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ!আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে পূর্ণ বিরত রেখেছি। কাজেই তাকে ক্ষমা করে দিন এবং পুরস্কৃত করুন এবং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।

আর কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কুবল করুন। অতঃপর তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’ -মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৬৫৮৯; তবারানী-মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৩/৫১৯

রোজা জাহান্নামের আগুনের ঢাল ও দুর্গ

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি ঢাল এবং দুর্গ।’-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮৯৭২

রোজাদার জান্নাতের রাইয়ান নামক শাহী তোরণ দিয়ে প্রবেশ করবে

এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি শাহী তোরণ আছে যা দিয়ে একমাত্র রোজাদারগণই প্রবেশ করবে। অন্য কেউ সে তোরণ দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (‘আর যে ব্যক্তি সে রাইয়ান গেট দিয়ে প্রবেশ করবে সে আর কখনো পিপাসিত হবে না।’ সহীহ বুখারী ১/২৫৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫২

রোজাদারের জীবনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে

হাদীস শরীফে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস সহকারে সওয়বের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ পাক তার জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০১

রোজাদারের দুআ কবুল হয়

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-‘তিন ব্যক্তির দুআ ফেরত দেওয়া হয় না : রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দুআ, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দুআ ও মজলুমের দুআ।

এ তিন ব্যক্তির দুআ আল্লাহ তাআলা মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেন। এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। তখন আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, আমার ইযযত ও মহাসম্মানের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব।’ -সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৩৪২৮

রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-‘রোজাদার ব্যক্তির আনন্দ উপভোগের দুটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। একটি ইফতারের সময়, অপরটি স্বীয় প্রভূর সাথে সাক্ষাতের সময়।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৪

রোজাদারের মুখের গন্ধ মিশকের চেয়েও সুঘ্রাণযুক্ত

রোজার কারণে মুখে যে দুর্গন্ধ হয় আল্লাহ তাআলা তারও মূল্যায়ন করেছেন কল্পনাতীতভাবে। অনাহারের কারণে সৃষ্ট দুর্গন্ধ তাঁর কাছে মিশকের চেয়েও অধিক সুঘ্রাণ বলে জানিয়েছেন আর ধন্য করেছেন তাঁর প্রেমে মত্ত রোজাদারদের।

নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন- ‘নিশ্চয় রোজাদারের মুখের (পানাহার বর্জনজনিত) গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধি অপেক্ষা উত্তম।’ -সহীহ বুখারী হাদীস, ১৯০৪

এভাবে এক মাস রোজা রাখা সম্ভব হলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাকওয়া ও সংযমের মহামূল্য সম্পদ দান করবেন, যার মাধ্যমে ইহকালীন ও পরকালীন প্রভূত কল্যাণের দ্বার উন্মুক্ত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারত সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ১১ বিশেষজ্ঞ

৭ শহীদ পরিবারের মাঝে সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের রমজানের উপহার

সংযমের মধ্য দিয়ে সমাজে শান্তি-ইনসাফ ফিরে আসুক : মির্জা ফখরুল

টঙ্গীতে যৌথবাহিনীর অভিযান, আটক অর্ধশতাধিক

তারেক রহমানের বাণী / ‘হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি পরিহার করে সমাজে শান্তি বজায় রাখা মুসলমানের কর্তব্য’

সপ্তম ওয়ালটন কাপ গলফ টুর্নামেন্ট সমাপ্ত

বিএনপি নেতার সহযোগিতায় ভারতে পালালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

ভারতের সিদ্ধান্তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিভ্রান্তি, বিপাকে দুই সেমিফাইনালিস্ট

‘রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে পদক্ষেপ নিন’

রাতে স্বামীর জন্মদিন উদ্‌যাপন, সকালে পদ্মায় মিলল গৃহবধূর লাশ

১০

জাতীয় পার্টির (জাফর) সভা / ১২ দলীয় জোটের দু-একটি দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ

১১

রমজানে জবির মসজিদে আয়োজন হবে ইফতার

১২

রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের বিষপান, ২ জনের মৃত্যু

১৩

পারমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া!

১৪

ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেই সেমিতে প্রোটিয়ারা

১৫

‘সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনি’

১৬

সিরিয়াকে দুর্বল করতে নতুন পরিকল্পনা ইসরায়েলের

১৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা করে বিএনপির উল্টো বিবৃতি

১৮

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত আছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৯

রমজান নিয়ে আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাস

২০
X