বিভাগভিত্তিক মাহফিলের অংশ হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জে মাহফিল করবেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। এই মাহফিলে আসার জন্য ভক্ত ও মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
স্ট্যাটাসে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, ‘ঢাকা বিভাগের বন্ধুরা, ইনশাআল্লাহ আগামীকাল থাকছি ঢাকার নবাবগঞ্জে, বারুয়াখালী তাফসির মাহফিল ময়দানে। বারুয়াখালী মাহফিল পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে। আসুন, দেখা হবে, কথা হবে।’
মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী গ্রামে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। মাহফিলে প্রধান বক্তা থাকবেন জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার ও গবেষক মিজানুর রহমান আজহারী।
মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। দোহার-নবাবগঞ্জসহ ঢাকা ও মানিকগঞ্জের বরেণ্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সাইমুমসহ বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা সংগীত পরিবেশন করবেন। আয়োজকদের ধারণা, মাহফিলে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে।
মাহফিলকে ঘিরে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এক হাজার একর কৃষিজমির বিশাল বিলকে মাহফিলের ময়দান বানানো হয়েছে। শেষ হয়েছে মঞ্চ, হেলিপ্যাড ও মূল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। অজুখানা ও টয়লেট নির্মাণের কাজ চলছে। মূল প্যান্ডেল ছাড়াও নারী শ্রোতাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সাতটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ১২টি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৩০টি এলইডি মনিটর থাকবে। দূরদূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগী পরিবহনের জন্য। মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক রাখতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টাওয়ার।
নিরাপত্তা বিষয়ে কমিটি জানায়, ঐতিহাসিক এ মাহফিলকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে নিয়োজিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। ৩০টি পয়েন্টে গাড়ি কন্ট্রোল করতে নিয়োজিত থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদেরও উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তারা জানায়, মাহফিলকে সফল করতে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। নারী শ্রোতাদের প্যান্ডেলে থাকবেন নারী পুলিশ সদস্য। এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ মাহফিল সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন