আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ ৭নং জোনের (ঢাকা-সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই) উদ্যোগে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) জামিয়া কাসিমিয়া আশরাফুল উলুম ঢাকা মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে ৭নং জোনের সভাপতি মাওলানা আলী আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, খতমে নবুওয়ত আন্দোলন এমন একটি ইবাদত যার অস্তিত্ব না থাকলে কোরআন-হাদিস, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, ফেতরা, সদকাসহ ইসলামের কোনো বিধিবিধান তথা পুরো শরীয়তের অস্তিত্ব থাকে না। মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর জীবদ্দশায় যত গাজওয়াহ এবং শরিয়াহ সংঘটিত হয়েছে তাতে ১৫৯ জন সাহাবি শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কিন্তু খতমে নবুওয়ত হেফাজতের জন্য মুসাইলামাতুল কাযযাবের বিরুদ্ধে এক ইয়ামামার যুদ্ধেই ১২০০ সাহাবি শাহাদাত বরণ করেছিলেন। সাহাবায়ে কেরামদের এই ত্যাগ কোরবানির ঘটনায় খতমে নবুওয়ত হেফাজত করা কতটা জরুরি তা স্পষ্ট হয়ে যায়। খতমে নবুওয়তের কাজ আরও মজবুত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সব পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের কাছে দাওয়াতি পয়গাম পৌঁছাতে হবে। এ সময় তিনি কেন্দ্রের দিকনির্দেশনা মেনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য ৭নং জোনের দায়িত্বশীলদের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানান।
এ সময় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলো হচ্ছে- আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৭নং জোন ঢাকার কমিটি গঠন করা হবে। আগামী অক্টোবর মাসে খতমে নবুওয়ত ও রদ্দে কাদিয়ানিয়্যাত শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। আগামী নভেম্বরে একযোগে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের সব মসজিদে খতমে নবুওয়ত ও রদ্দে কাদিয়ানিয়্যাতের ওপর আলোচনা করার জন্য খতিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ডিসেম্বরে কাদিয়ানি সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ দাওয়াতি কাফেলা প্রেরণ করা হবে। আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন করা হবে। সবশেষে ডেঙ্গুর মহামারি ও দেশে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে দোয়া করা হয়।
সভায় মুফতি আলী আকরাম, মুফতি মাহফুজ হায়দার ও মাওলানা মাহমুদ আল হাবিবের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, সাঈদ নূর, আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আশিকুল্লাহ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, ইউসুফ সাদিক হক্কানি, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মুফতি আবুল হুসাইন খাঁন, মুফতি সানাউল্লাহ, মুফতি সালাহউদ্দীন, আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী, মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা দ্বীন মুহাম্মদ, মাওলানা আলী আশরাফ তৈয়ব, কারি জামালউদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতি মাহবুব গুলজার, নাজমুল হাসান বিন নূর, আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, শাহেদ জাহেরি, মুহিউদ্দিন, মুহাম্মদ ফারুক হুসাইন, আহসান মাহবুব, মুফতি সোহাইল আহমাদ, আব্দুর রহমান সিরাজী, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক, আবু সাঈদ জেহাদি, মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রহমান নান্দেশ্বরী, মাওলানা ইদ্রিস আলী, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মুফতি আশরাফ আলী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মুফতি হাবিবুর রহমান, জুবায়ের দেপাশাই, মাহমুদুল হাসান, মাওলানা বাহাউদ্দীন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা আবুল কালাম ও মাওলানা ইউসুফ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন