বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়, যা মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চারিত্রিক পবিত্রতা ও নিজ বংশধারা বজায় রাখার জন্য বিয়ের বিকল্প নেই। বিয়ে করা যুবক-যুবতীদের জন্য ক্ষেত্র ভেদে ফরজ আবার কখনো সুন্নত।
এজন্য দ্রুত বিয়ে করে নেওয়াই ভালো। অনেকের বয়স অতিক্রম হয়ে যায়, তারপরও বিয়ে হয় না। তাদের জন্য নিম্নের আমলটি দেওয়া হলো-
সহজে বিয়ে হওয়ার জন্য বেশি বেশি সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে দোয়া করতে হবে। কোরআনে বর্ণিত বিয়ের জন্য বিশেষ একটি দোয়া রয়েছে। প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হবে। নামাজের পর ছাড়াও পড়া যাবে। যে কোনো সময়ে যে কোনো জায়গায় পড়া যাবে।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ : রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে। আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৪)
কোরআনের কিছু আয়াতের আমল
সমাজের একটি সমস্যা হলো ক্যারিয়ার গঠনের ধোঁয়াশায় পড়ে যথাসময়ে বিয়ে না করা। এভাবে বয়স বেড়ে যায়, বিবাহ করা কঠিন হয়ে যায়। তখনই হতাশা আর ধোঁয়াশায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। নানা অপকর্মেও জড়িয়ে পড়ে মানুষ। কোরআনের কয়েকটি আয়াত নিয়মিত পাঠে আল্লাহর ইচ্ছায় এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ: ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
অর্থ: এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারও বন্দেগি নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১২৯)
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন খুব একাকী ও বিষণ্নতা অনুভব করতেন তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। দ্রুত বিয়ের ক্ষেত্রে এ আয়াতের আমলটিও করতে পারেন।
সুরা কাসাসের ২৪ নম্বর আয়াত- فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’
এ ছাড়াও দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য প্রতিদিন ১১ বার সুরা দোহা পড়া যেতে পারে। সুরা ইয়াসিন ও আল্লাহর ৯৯ নামও খুব কার্যকরী।
আল্লাহ পাকের কাছে কোনো কিছুর অভাব নেই। যে আল্লাহর কাছে চায় তার উপরই আল্লাহ খুশি হন। তার কল্যাণ যখন হবে তখনই সেটা দান করেন। সৎ মনে আপনি যদি আল্লাহ পাকের কাছে আপনার জীবনের অর্ধেক দিন পূর্ণ করতে চান। বিয়ে করার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে আমল করতে চান তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই আপনাদের মনের আশা পূরণ করবেন।
এ ক্ষেত্রে আরও একটি দোয়া বেশি বেশি পড়া উচিত।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
অর্থ: ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন, যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে। আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শ করুন।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৪)
মন্তব্য করুন