শারদীয় দুর্গাপূজায় রাজধানী ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে প্রতিবারের মতো এবারও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শুরুতে মহাঅষ্টমীতে এবার কুমারী পূজা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে পূজা কমিটি। শনিবার (৫ অক্টোবর) নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমারী পূজার সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পূজা উদযাপন কমিটি।
ঢাকার বাইরে রামকৃষ্ণ মিশনের অনেক শাখায় যথারীতি কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে এবার দুর্গাপূজা শুরু হবে। ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী শান্তিকরানন্দ মহারাজ (কিশোর মহারাজ) মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) কালবেলাকে জানান, এর আগে করোনা মহামারির সময়ও মহাঅষ্টমীতে কুমারী পূজা বাদ পড়েছিল। কারণ, সংক্রমণ রোধে তখন সরকারের পক্ষ থেকে বেশি লোককে এক জায়গায় একত্রিত হতে নিষেধ করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর কালবেলাকে বলেন, কুমারী পূজার ধারাটা রামকৃষ্ণ মিশনেই সীমাবদ্ধ, এটি মিশনেই হয়। কুমারী পূজা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রবর্তিত একটি প্রথা। কুমারী মেয়েদের মধ্যে তিনি দেবীর উপস্থিতি দেখতেন। এ কারণে ছোট মেয়েদের তিনি অষ্টমীর দিন পূজার ব্যবস্থা করেন। ৮-১০ বছর বয়সের কুমারী মেয়েকে দেবীরূপে পূজা করা হয়।
এদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন মন্দিরের ভেতরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মিশনের স্বামী শান্তিকরানন্দ মহারাজ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনা মহামারির সময়েও সংক্রমণ রোধে মন্দিরের ভেতরে দুর্গাপূজা হয়েছিল। তাছাড়া আগে তো মন্দিরেই পূজা হতো। যখন ভক্ত সংখ্যা বেড়ে গেল, তখন মন্দিরের বাইরে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মন্দিরের ভেতরে হলেও পূজার দিক দিয়ে কোনো কমতি হবে না। উপাচার কিংবা প্রসাদের ব্যাপারে কোনো কমতি থাকবে না। ভক্তদের জন্য যেটা দরকার সেগুলো ঠিক থাকবে।
মন্তব্য করুন