আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৩ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, ‘সুতরাং কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে, নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে।’ ( সুরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত, ৫-৬)
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) সকাল-সন্ধ্যায় কখনো নিম্নোক্ত এসব দোয়া পড়া বাদ দিতেন না।
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফিয়াতা ফি দ্বীনি ওয়া দুনইয়া-য়া, ওয়া আহলি ওয়ামালি; আল্লাহুম্মাসতুর আওরাতি, ওয়ামিন রাওআতি; আল্লাহুম্মাহফাজনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়ান ইয়ামিনি ওয়ান শিমালি ওয়া মিন ফাওকি; ওয়া আউজুবিকা বিআজমাতিকা আন আগতালা মিন তাহতি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার দ্বীন-দুনিয়া, পরিবার ও ধনসম্পদের নিরাপত্তা কামনা করছি। হে আল্লাহ! আমার দোষত্রুটি গোপন রাখুন, আমার সৌন্দর্যগুলো নিরাপদ রাখুন। হে আল্লাহ আমাকে আমার সামনে-পেছনে, আমার ডানে-বামে ও ওপরের দিক থেকে রক্ষা করুন। আমি আপনার কাছে আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আমার নিচ দিকে গুম হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (নাসায়ি, হাদিস : ৫৫৩০; আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৪; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৩৮৭১)
হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, নবী করিম (সা.) যখন কোনো গোষ্ঠীর হাতে ক্ষতির আশঙ্কা করতেন, তখন বলতেন, اللهمَّ إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوءِ الْقَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম।
অর্থ, ‘হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখি করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’ (আবু দাউদ ও নাসাই)
হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেছেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে যেন ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা দোয়া পাঠ করে, তখন আল্লাহ-তায়ালা তাকে তার বিপদ দূর করে দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে, তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন।’
অর্থ, ‘একমাত্র তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫০০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো এলাকায় মহামারি (সংক্রামক ব্যাধি) ছড়িয়ে পড়লে তোমরা যদি সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বের হবে না। আর বাইরে থাকলে তোমরা আক্রান্ত এলাকায় যাবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করার আগে প্রথমে দরুদ পড়বেন। দরুদ পড়ে দোয়া শেষও করবেন।
মন্তব্য করুন