ইসলামের শিক্ষানুযায়ী, নিয়মিত আমল ও দোয়া কীভাবে একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাফল্য, শান্তি এবং কল্যাণ বয়ে আনে, তা ব্যাখ্যা করা হবে।
সকাল-সন্ধ্যার দোয়া, নামাজের পরে পড়ার দোয়া, এবং বিশেষ কিছু তাসবিহ পাঠের গুরুত্বও তুলে ধরা হবে, যা ব্যক্তি জীবনকে আলোকিত করতে সহায়তা করে।
অতএব, প্রতিদিন যদি আমল করা হয়, তাহলে মৃত্যুর ওই আমলগুলো আপনার সঙ্গে যাবে।
প্রতিদিন যেসব আমল আপনি করতে পারেন-
আত্মার পরিচ্ছন্নতার জন্য দরকার প্রতিদিন ইস্তেগফার করা। সকাল-বিকেল ইস্তেগফারের মাধ্যমে আমরা সারা দিনের ভুলগুলোর প্রায়শ্চিত্ত করতে পারব। ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করবেন।
রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত আমাদের ওপর বর্ষিত হবে। এজন্য সব সন্ধ্যা প্রতিদিন রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা উচিত।
ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত কেননা অনেক মানুষ এই ঘুমের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মাসনুন দোয়ার মাধ্যমে সর্বাবস্থায় মনের মধ্যে আল্লাহর স্মরণ করা হয়।
প্রতিদিন যতটুকু সম্ভব পবিত্র কোরআনুল কারিম থেকে তিলাওয়াত করা উচিত। এতে আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব হবে।
যত বেশি সম্ভব জিকির করা উচিত। কোরআনে জিকিরের কথা যতবার বলা হয়েছে— বেশি বেশি করে করার কথা বলা হয়েছে। জিকিরের মাধ্যমে অন্তর তাজা ও প্রাণবন্ত থাকে।
প্রতিদিন চোখ বন্ধ করে নিজের মনে এই অনুভব করা, আমি সব অপকর্ম থেকে নিজেকে দূরে করে রাখছি। সব নেতিবাচকতা নিজের থেকে দূর করে— ইতিবাচকতা আনার চেষ্টা করছি।
সাধ্যমত দান সদকা করাও গুরুত্বপূর্ন আমল এবং দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত।
মন্তব্য করুন