কুয়েতে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দেশটির সোবহান সেনানিবাসে 'বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস' (বিএমসি) এর উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয় বলে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েত সরকার কর্তৃক ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দিবসটি খুব সীমিত পরিসরে কোনো প্রকার উৎসব ও কুচকাওয়াজ ছাড়া পালন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি ছিলেন কুয়েতের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল এভিডেন্সের ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল ঈদ রাশেদ আল ওয়াইহান আল এনেজি।
প্রধান অতিথি এ সময় ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বাংলাদেশি ডেপুটিদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। এ সময় তিনি আগামীতেও দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সুসম্পর্ক আরও দৃঢ়তর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি নন-কমিশনড অ্যাফেয়ার্স ব্রাঞ্চের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল লাফি মালফি আল মুতাইরি বাংলাদেশি সেনাসদস্যদের আভিযানিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে গৌরবময় ইতিহাসের ওপর জোর দিয়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন বিএমসির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তাজুল ইসলাম ঠাকুর। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস এবং বিএমসি টু কুয়েতের কার্যক্রমের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও ১৯৯১ সাল থেকে বিএমসির ক্রমধারার ওপর একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন