মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মিনিস্ট্রির নির্দেশনা মোতাবেক দেশটিতে অবস্থিত অভিবাসীদের সুরক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বছরখানেক ধরে চলছে বিদেশিদের তথ্য সংগ্রহের কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান সম্পূর্ণ করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব বিদেশি কর্মী এখনও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করেনি তাদেরকে চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে দেশটিতে অবস্থিত সকল বিদেশিদের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদানে ব্যর্থ হলে কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে।
বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে রাজধানী মালে এবং বিভিন্ন আইল্যান্ড কাউন্সিলর অফিসসহ বিভিন্ন রিসোর্টে সরকারের একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছেন বছর খানেক ধরে। সেক্ষেত্রে বৈধ ও আন ডকুমেন্টেড সকল প্রবাসী কর্মীদের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদানের সুযোগও রয়েছে। এবারও ভিনদেশীয় কোন কর্মী বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মালদ্বীপে সমস্ত বিদেশি কর্মীর ছবি এবং আঙুলের ছাপসহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য গত বছর শুরু হওয়া একটি বড় অভিযানের অংশ এটি। যা দেশটিতে অবস্থিত অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানের অংশ হিসেবে লক্ষ লক্ষ বিদেশিদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় নিয়োগকর্তাদের এই মাসের শেষের মধ্যে তাদের বিদেশি কর্মীদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়ে একটি চূড়ান্ত অনুস্মারক জারি করেছে। যেসব নিয়োগকর্তা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়াই এই সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক আপডেট করতে ব্যর্থ হবেন তাদের প্রবাসী সিস্টেম এবং সংশ্লিষ্ট পরিষেবা থেকে বরখাস্ত করা হবে।
বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ সকল বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের চলমান সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
মন্তব্য করুন