গত কয়েক বছরে বিদেশে পাড়ি জমানো কর্মীদের প্রায় অর্ধেকই গিয়েছে সৌদি আরবে। বছর বছর কর্মী পাঠানো বাড়লেও সৌদি থেকে আসছে না আগের মতো রেমট্যোন্স। অর্থাৎ কর্মী যাওয়ার সংখ্যা বাড়লেও কমছে রেমিট্যান্স আয়। অথচ তুলনামূলক কম কর্মী থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সৌদি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৪ কোটি ডলার। একই অর্থবছরে আমিরাত থেকে ৪৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সৌদি থেকে রেমিট্যান্স কম আসার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে অন্যতম ইকামা বা বিদেশি কর্মীর বসবাসের পারমিটের উচ্চ মূল্য দিতে নিয়োগকর্তাদের অনীহা।
এতে সৌদিতে বাড়ছে অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যাও। অবৈধভাবে থাকা শ্রমিক আয়ও করছেন কম। আবার তারা আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই তারা হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন। অবৈধ বা অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থায় টাকা পাঠানোয় এসব প্রবাসী আয় থাকছে আনুষ্ঠানিক হিসাবের বাইরে।
সাধারণত ওয়ার্ক ভিসায় সৌদি যাওয়া কর্মীরা তিন মাসের অস্থায়ী অনুমতি পান। এই সময়ের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট না পেলে অনিবন্ধিত হয়ে পড়েন তারা। বর্তমানে শ্রমিকপ্রতি ইকামার জন্য সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়কে বার্ষিক ৮ হাজার ৬০০ রিয়াল দিতে হয়। এছাড়া বিমা ও অন্যান্য হিসাব মিলিয়ে খরচ হয় আরও ৬০০ রিয়াল। সবমিলিয়ে শ্রমিকপ্রতি ইকামা বাবদ বছরে খরচ হয় ১১ হাজার রিয়াল।
মন্তব্য করুন