মেঘের ভেলায় চড়ে মেঘরাজ্য ভ্রমণের ইচ্ছে আছে এমন পর্যটকদের প্রিয় স্থান মালয়েশিয়ার ক্যামেরন হাইল্যান্ড। এখানে সকালের সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সুর্যাস্ত পর্যন্ত প্রতিটি মূহূর্ত মেঘ ছুঁয়ে যাবে আপনাকে। নয়নাভিরাম চা বাগান, স্ট্রবেরি বাগান, ক্যাকটাস ভেলি, বাটারফ্লাই পার্ক, নানা ধরনের ফুলের বাগান ও পাহাড় বেয়ে আসা ঝরনা রয়েছে ক্যামেরন হাইল্যান্ডে। অনিন্দ সুন্দর এই শহরের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ২৫৯ ফুট উচ্চতার এ পাহাড়ি অঞ্চলটির দূরত্ব রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে মাত্র ২০৩ কিলোমিটার। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে নয়ানিভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন সেখানে যান বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। কুয়ালালামপুর থেকে বাসে করে ক্যামেরন হাইল্যান্ড যেতে হলে টিবিএস বাস কাউন্টার থেকে যাত্রা শুরু হবে আপনার। তবে গাড়ি ভাড়া করে ক্যামেরন হাইল্যান্ড ভ্রমণ অধিক শ্রেয়।
এখানকার আকর্ষনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে বোহ টি প্লান্টেশান, মোসি ফরেস্ট, ক্যামেরন ল্যাভেন্ডার গার্ডেন, বিগ রেড স্ট্রবেরি ফার্ম, ক্যামেরন ভারত টি স্টেট, ক্যাকটাস ভ্যালি, রাজু হিল স্ট্রবেরি ফার্মসহ বেশ কয়েকটি স্থান যেখানে ভ্রমণপিপাসুরা সচারাচর ভ্রমণ করেন। পাহাং রাজ্যের ১১টি জেলার একটি ক্যামেরন হাইল্যান্ড। শীতল আবহাওয়ার কারণে বছরব্যাপী সবজি চাষ হয় এই অঞ্চলে। বলা যায় মালয়েশিয়ার সবজি উৎপাদনের সিংহভাগই আসে ৭১২ বর্গকিলোমিটারের ক্যামেরন হাইল্যান্ড থেকেই। এই শহরে সবজির বাগান, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট কিংবা হোটেল-মোটেলগুলোতে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। কালবেলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এখানে কর্মরত প্রবাসীরা সন্তোষ জানিয়েছেন ভালো বেতনে কাজ করতে পেরে। তারা বলেন, শীতল আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য জায়গার তুলনায় এই শহরে কাজ করা সহজ এবং আরামদায়ক।
ক্যামেরন হাইল্যান্ডের আবাসিক হোটেলগুলোতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতল বাতাসের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তবে এখানকার কুয়াশাভেজা শুভ্র সকাল উপভোগ করতে হলে পর্যটকদের রাত যাপন করাই ভালো।
মন্তব্য করুন