বাংলাদেশিদের বিজয় দিবসের আনন্দে এক টুকরো বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল ইউরোপের প্রাচীন দেশ পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। প্রথমবারের মতো পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে বৃহৎ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মহান বিজয় দিবস উৎসব।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী লিসবনের মারতিম মুনিজ পার্কে এ বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
লিসবনের জোন্তা ফ্রিগেসিয়া সান্তা মারিয়া মাইওরের প্রেসিডেন্ট ড. মিগেল কোয়ালু বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা তাদের স্বাধীনতার মাসে সুন্দরভাবে বিজয় উৎসব আয়োজন করছে। আমরা সাথে থাকতে পেয়ে আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এ সময় লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান এসএম গোলাম সরওয়ার, পর্তুগালের লিসবন মিউনিসিপ্যাল অ্যাসেম্বলি মেম্বার ও সোশ্যালিস্ট পার্টি নেতা অ্যাডভোকেট ড. জোসে লেইতাও, জুন্তা ফ্রেগেসিয়া আল্কান্তারার প্রেসিডেন্ট ড্যাবিড আমাদোসহ বিভিন্ন পর্তুগিজ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের লাল সবুজ রঙের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে পর্তুগালের বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন রনি হোসাইন ও আব্দুল হাকিম মিনহাজ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রানা তাসলিম উদ্দিন।
উদযাপন কমিটির প্রধান রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সাথে পর্তুগালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিয়েছে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে। এই আয়োজনের বাংলাদেশকে পর্তুগালের মানুষের কাছে আরও গভীর প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হবে।
অনুষ্ঠানে শিল্পী নাদিম ওয়াহিদ দর্শকদের বাংলা গানে মাতিয়ে তোলেন। পর্তুগিজরা বাংলাদেশিদের মনোমুগ্ধকর এ বিজয় উৎসবে আনন্দিত হন। তারা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং বাঙালিদের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন। তারা বাঙালিদের আয়োজন প্রতি বছর করার জন্য সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আয়োজনে ৪০টির মতো স্টলে বাংলাদেশি মানুষজন দেশীয় বিভিন্ন কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন পিঠা, হস্তশিল্প ও বাংলাদেশি পণ্যের সমারোহ নিয়ে হাজির হন। বিজয় উৎসবে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাব ছিল।
মন্তব্য করুন