পাঁচ মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় আন্দোলনে নেমেছিল কাউয়াগুচি ম্যানুফেকচারিং এসডিএন বিএসডি নামে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কর্মরত ৩ শতাধিক বাংলাদেশি। বেতন দিতে না পারায় এসব কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগও নিয়েছিল ওই কোম্পানি। তবে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যস্থতায় এবার প্রাণ ফিরে পেলে ওসব কর্মীরা। কাজ আছে এমন সাতটি কোম্পানিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ১৬০ বাংলাদেশিকে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশনের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাউয়াগুছি (Kawaguchi) ম্যানুফেকচারিং এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে কর্মকালীন বাংলাদেশি কর্মীদের বকেয়া বেতন ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর ডিপার্টমেন্ট অব লেবার (JTK) কোর্টের নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ১৬০ কর্মীকে ৭টি ভিন্ন ভিন্ন নতুন কোম্পানির অধীনে হাইকমিশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনপূর্বক হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কর্মীদেরও আগামী দুদিনের মধ্যে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে।
১৬০ কর্মীর মধ্যে KYB-UMW MALAYSIA SDN BHD (103151-W) - কোম্পানিতে ১০ জন, SYARIKAT PERNIAGAAN KEMAJUAN INT.SDN BHD (177698-X) কোম্পানিতে ৪৫ জন, WIN WIN FOOD INDUSTRIES SDN BHD (662492-U) কোম্পানিতে ২০ জন, ECO-SHOP MARKETING SB (734055M)- কোম্পানিতে ৪১ জন, CEVA LOGISTICS SDN BHD (421502-U) কোম্পানিতে ১৭ জন, DESARU DAMAI BEACH RESORT SDB BHD (780983-A)- কোম্পানিতে ১০ জন এবং Boh tea, cameron high land কোম্পানিতে ১৭ কর্মীকে নিয়োগকর্তা স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়ে পুরো বিষয়টি তদারকি ও ডিপার্টমেন্ট অব লেবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, কোম্পানি বকেয়া বেতন না দেওয়ায় ১৩ ডিসেম্বর রাতে কর্মীরা কর্মবিরতি ও কোম্পানির অফিস ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কোম্পানির অফিসে যায়। পুলিশ বিভাগের সদস্য, কোম্পানির কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে আলোচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আলোচনার ধারাবাহিকতায় ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে পুনরায় পুলিশ, কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দীর্ঘ আলোচনায় সমস্যার সমাধান খোঁজা হয়। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর শুনানি হয়। শুনানি শেষে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মন্তব্য করুন