বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অনির্বাচিত সরকার থাকার কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) লন্ডনে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রকাশকে ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিদিন নতুন নতুন ইস্যু ও কৌশলের সৃষ্টি হচ্ছে। আজকেও সে রকম দু-একটি নাটক হয়ে গেছে, যা আগামীকালকে মঞ্চস্থ হবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই সংস্কার চায়। কিন্তু কেউ বলছে না নির্বাচন ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। বর্তমানে যেহেতু সংবিধান বেঁচে আছে তার অনুপাতে নির্বাচনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির এ সদস্য বলেন, যারা এখন নতুন কিংস পার্টি করল, আমরা তাদের স্বাগত জানাই। কিন্তু সেই রাজনৈতিক দল হতে হবে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া। এখন সরকারের মধ্য থেকে রাজনীতিও করবেন, সরকারের উপদেষ্টাও থাকবেন, আবার দল গঠন করে সেই দলের জন্য সময়ক্ষেপণ করবেন। নির্বাচনের জন্য যতদিন আপনারা তৈরি না হবেন তত দিন কোনো না কোনো বাহানা সৃষ্টি করবেন। জনগণ সেটা বুঝে। জনগণ এখন সার্বভৌম।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের রক্ষাকবজ হিসেবে বিএনপি পাহারাদার হিসেবে জনগণের সামনে প্রতিভাত হয়েছে। সুতরাং জনগণ যদি বিএনপিকে সেই আস্থায় নিতে চায়, আর কোনো গোষ্ঠী যদি জনগণকে সেই আস্থা থেকে প্রতিপক্ষ মনে করে তাহলে আমরা ধরে নেব তারা গণতন্ত্রকে প্রতিপক্ষ মনে করছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, রাষ্ট্রে জনগণই একমাত্র সার্বভৌম। তো যারা আজকে বলছে আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে একটি রিপাবলিক ঘোষণা করতে চাই। সংবিধানকে বিনষ্ট করতে চাই। তারা কি সার্বভৌম? এখানে অন্য কেউ নয়, সংসদই সংবিধানকে পরিবর্তন বা ছুড়ে ফেলার একমাত্র ফোরাম। আমি আজকে আহ্বান জানাব কোনো ব্যক্তি, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী বা কোনো সমাজ যেন নিজেদেরকে সার্বভৌম মনে না করে।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, আজকে একটা জিনিস বারবার বলা হচ্ছে ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা’। শহীদের রক্তের চাহিদার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসনের সাম্যভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হবে। এই প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে বারবার কেন উচ্চারিত হচ্ছে এটা বিপ্লব বলে। বিপ্লবের অর্থ হচ্ছে সমাজের সকল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সবকিছুর পরিবর্তন। বাংলাদেশে কি সেই অর্থে বিপ্লব হয়েছে? বাংলাদেশে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক গণ-অভ্যুত্থান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন