দশ বছর আগে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ এমএইচ-৩৭০ বিমানের খোঁজে আবারও তল্লাশি চালাবে মালয়েশিয়া। বিমানে নিখোঁজ যাত্রীর স্বজনদের দাবির মুখেই নতুন করে এ অনুসন্ধান চালানো হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ সংক্রান্ত একটি বিলও পাশ হয়েছে মন্ত্রী পরিষদ সভায়। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা বারনামা’র বরাদ দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় অনলাইন দ্যা স্টার।
এ নিয়ে এমএইচ-৩৭০ এর প্রতিনিধি শুবাধিরাই নাথান বলেন, নিখোঁজ বিমানে থাকা আরোহীদের আত্মীয়দের দাবির মুখে আবারও বিমানের সন্ধান চালানো হবে। নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের দাবি ভারত সাগরে মিলতে পারে ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
২০১৮ সালে সবশেষ বিমান অনুসন্ধানের এ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল এবং সে অভিযানে এমএইচ-৩৭০ এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। রাডারেও ধরা পড়েনি সবশেষ অবস্থান। শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া বিমানের সে রহস্য অসামাপ্ত রেখেই অভিযানের পরিসমাপ্তি হয়।
পরিবহন মন্ত্রী অ্যান্থনি লোক বলেন, ১৩ ডিসেম্বর মন্ত্রী পরিষদের সভায় নতুন করে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়া হয়, যার দায়িত্ব পেয়েছে একটি সামুদ্রিক রোবোটিক কোম্পানি। ওই কোম্পানির দাবি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে ১৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে এটির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্য এবং ব্যাখ্যা তাদের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের হাতে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুব্রামানিয়াম গুরুস্যামি নামে এক ব্যক্তি বলেন, ওই ঘটনা আমাদের পরিবারকে দারুণভাবে আহত করেছে। আমাদের একমাত্র ছেলে ওই বিমানের যাত্রী ছিল। বিমানের সন্ধান পেলে তার মতো অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরাও সন্তোষ জানাবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় এমএইচ-৩৭০ নামে ওই বিমানটি। পরে বিমানটি অনুসন্ধানে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান কাজ করে। কিন্তু কোনো তথ্য না পাওয়ায় ২৯ মে ২০১৮ সালে এ অভিযানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন