মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা নিতে গেলে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এই ভোগান্তি যেন এখন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এক্সপাট সার্ভিসেস লিমিটেডে (ইএসকেএল) হাজারখানেক প্রবাসী ই-পাসপোর্টের সেবা নিতে এলে বিনা কারণে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের মারধর করে।
এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরপরই প্রবাসীরা একত্র হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পাসপোর্ট সেবা বা অন্যান্য কনস্যুলার সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী যিনি কুয়ালালামপুর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে পেনাং প্রদেশ থেকে পাসপোর্টের সেবা নিতে এসেছেন কালবেলাকে তিনি জানান, গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে মধ্যরাতে ইএসকেএলের অফিসে পৌঁছান। সারারাত না ঘুমিয়ে সকালে ই-পাসপোর্টে আবেদনের জন্য লাইনে দাঁড়ান। সকাল ১০টার দিকে যখন ভিড় বেশি হয় তখন দায়িত্বরত সিকিউরিটি এসে এলোপাতাড়িভাবে প্রবাসীদের মারধর শুরু করেন। এমন অবস্থায় প্রবাসীরা ভয় পেয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরেক প্রবাসী জানান, আমরা চাইলে হাইকমিশন ঘেরাও করে কিংবা ভাঙচুর করে আমাদের অধিকার আদায় করতে পারি। এমনটি করলে আমাদের দেশের মান সম্মান নষ্ট হয় বলে আমরা সব সময় চুপ থাকি।
উল্লেখ্য, হঠাৎ করে গত ১৯ অক্টোবর কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বন্দর ঘোষণা দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, এমআরপি পাসপোর্টের জন্য ফুয়েল শেষ হয়ে যাওয়ায় সব মালয়েশিয়া প্রবাসীকে ই-পাসপোর্ট করতে হবে।
এ ই-পাসপোর্ট করতে গিয়ে প্রবাসীরা পড়ছে ভোগান্তিতে। ই-পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই এমআরপি পাসপোর্টের সঙ্গে এন আই ডি অথবা জন্মনিবন্ধন কার্ডের তথ্যের সঙ্গে মিল থাকতে হবে, ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রবাসীদের এই তথ্যের গরমিল থাকায় অনেকে এই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারছে না।
এদিকে এমআরপি পাসপোর্ট করার জন্য গত সাত-আট মাস আগে যেসব প্রবাসী পাসপোর্টের আবেদন করেছিল। তাদের আবেদন হাইকমিশনে গিয়ে আবেদন বাতিল করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএলেন কাছে যেতে হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে প্রবাসীদের ভয় দেখানোর জন্য নিরাপত্তাকর্মীরা রেখে তাদের মারধর করার।
প্রবাসীদের দাবি এয়ারপোর্টে তাদের ভিআইপির সম্মান দেওয়ার থেকে সহজে সময়মতো পাসপোর্ট পাওয়া সব সময়ের দাবি, তা না হলে তারা আবারও রেমিট্যান্স শাটডাউনে চলে যাবেন।
মন্তব্য করুন