গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও গণমানুষের নেতা আ হ ম মুস্তফা কামাল - এর মালয়েশিয়ায় শুভাগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করেছে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি হোটেলে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় মো. ওয়াহিদুর রহমান অহিদ ও সাখাওয়াত হক জোসেফের সঞ্চালনায় আলহাজ মকবুকল হোসেন সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া জঙ্গলে বেঁধে রাখা হয়েছে প্রবাসীকে
অর্থমন্ত্রীকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট নবায়ন করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রবাসীদের। একটি পাসপোর্ট রিনিউ করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগছে। যথাসময়ে প্রবাসিরা পাসপোর্ট হাতে না পেয়ে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন প্রবাসীরা। কোনো কারণে প্রবাসীরা মালয়েশিয়ায় মারা গেলে তার লাশ স্বজনদের কাছে ফেরত পাঠাতে দূতাবাসে বরাদ্দ না থাকায় ভিক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করে লাশ দেশে পাঠাতে হয়।
অর্থমন্ত্রীর কাছে সরাসরি অভিযোগ করে এক প্রবাসী বলেন, দূতাবাসে গেলে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। দূতাবাসের সেবা পেতে দীর্ঘ সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
নেতারা অনুরোধ করে বলেন, প্রবাসীদের লাশ পাঠাতে সরকার যেন দূতাবাসে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখেন এবং জেলখানায় আটকৃতদের যেন দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
সব অভিযোগ শুনে সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অর্থমন্ত্রীর আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বক্তব্যে বলেন, মালয়েশিয়াতে একটা কমিউনিটি মসজিদ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রবাসীদের উনিভার্সেল পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রণোদনা ২.৫% থেকে বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এসব অভিযোগ শোনার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, পাসপোর্ট আপনাদের অধিকার। এটা আপনারা পাবেন। এর জন্য কাউকে ঘুষ দেবেন না। ঘুসদাতা ও গ্রহীতা দুজনই জাহান্নামি। আপনারা কেউ ঘুস দিবেন না এবং নিবেনও না ।
এ ছাড়াও বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ডা এ টি এম ইমদাদুল হক , রফিকুল হোসেন , সিনিয়র সহসভাপতি মো. কামরুজ্জামান কামাল, দাতো শ্রী জালাল উদ্দিন সেলিম , নূর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, রাশেদ বাদল, মালয়েশিয়া শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলামসহ মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ শত শত প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন