এবারের নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন প্রায় ৩৫ লাখ অভিবাসী। ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত অভিবাসীরা শিক্ষার্থীরাও।
দেশটিতে অনুষ্ঠিতব্য আজকের নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো মূলত– বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়ার মতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সাবেক ভূখণ্ডের– শরণার্থী ও অভিবাসীরা ভোটদানে যোগ্য।
যুক্তরাজ্যের ভোটের রাজনীতিতে একটি ফ্যাক্টর হচ্ছে বাংলাদেশি কমিউনিটির ভোট। কেননা এখানে অন্তত ১০ লাখ বাংলাদেশি মানুষ বসবাস করেন। এর মধ্যে সম্প্রতি কেয়ার ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটে আরও অন্তত কয়েক হাজার বাংলাদেশি ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক অনেকে প্রার্থী রয়েছেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশিরাও মুখিয়ে আছে এবার ভোটদানের জন্য।
নির্বাচনে লেবার পার্টি কিছুটা চাপে আছে- ফিলিস্তিনি ইস্যু এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ে কথা বলার সময় উদাহারণ হিসেবে বাংলাদেশের নামে টেনে আনা নিয়ে। তারপরও এবারের নির্বাচনে ঋষি সুনাকের প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টিকেই এগিয়ে রাখবেন বাংলাদেশিরা।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্যে গেছেন মোহাম্মদ হাসান। ৩৬ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী থাকেন লন্ডনের ইস্টহ্যাম একালায়। তিনিও ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য তিনি দেখতে পান না। তবে যে দল অভিবাসীদের প্রতি সহনশীল এবং উদার, সেই দলের গত বছর বাংলাদেশ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইতালি আসা ৫০ বয়সী রাকিন আহমদ সকাল ৭টায় ভোট দিয়েছেন পূর্ব লন্ডনের কেইলি স্কুলে। তিনি বলছেন আমার খুব ভালো লেগেছে, ইতালিতে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছি, কিন্তু চলে আসার পর এটাই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়া। এখানে কোনো পুলিশ নেই, কোনো মিছিল মিটিং নেই- সুন্দর একটা ভোট হচ্ছে।
মন্তব্য করুন