বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, আজকে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামানদের দুর্নীতি সামনে এসেছে। দেশবাসী মনে করে, এগুলো সামান্য। আরও বড় বড় দুর্নীতিবাজ আছে। তারা আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের ধরে না, তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ, এই সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখতে তারা সহযোগিতা করেছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে সোহেল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন এমন এক নেত্রী যিনি কাঁদলে সারা জাতি কাঁদে, যিনি হাসলে সারা জাতি হাসে এবং যিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সারা জাতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই নেত্রী আজ কারাবন্দি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই আন্দোলনে শামিল হতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পাদিত চুক্তি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে দেশে আগামীতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এই অসম চুক্তি বাতিল করা হবে।
সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
উল্লেখ্য, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বেলা পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দুপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন