কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ১০:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গরিব মারার বাজেট দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে : লেবার পার্টি

বাংলাদেশ লেবার পার্টির লোগো। সংগৃহীত
বাংলাদেশ লেবার পার্টির লোগো। সংগৃহীত

প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিব মারার বাজেট হিসেবে অভিহিত করে ১২ দলীয় জোটভুক্ত বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান বলেছেন, জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাবিত এই বাজেট দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।

শুক্রবার (০৭ জুন) এক বিবৃতিতে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

লায়ন ফারুক রহমান বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার পুনরায় ক্ষমতা দখল করেছে। এই সরকার ৬ জুন জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার ঋণনির্ভর বিশাল আকারের কল্পনাবিলাসী যে অবাস্তব বাজেট পেশ করেছেন, তাতে দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর এবং অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার পরিবর্তে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে এবং বিদেশে অর্থপাচারের ব্যবস্থা করে ও দুর্নীতিবাজদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার পরিবর্তে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার। তাদের এ বাজেট গরিব মারার বাজেট।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এবার ব্যয় বেড়েছে ৮২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। বড় অংকের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এটি অর্জন করতে চলতি সংশোধিত বাজেট থেকে ৬৬ হাজার কোটি টাকা বেশি আহরণ করতে হবে, যা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীবিদগণ। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির আয়সীমা গত বছরের মতোই রাখা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। বেশি আয়ের লোকদের আয়করের সীমা ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা সংকুচিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

ফারুক রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের ওপর বাড়তি কর আরোপের একটি বাজেট মাত্র। এই বাজেট দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাবিত বাজেট দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বর্ষাকালে চুরি করে রাস্তা খনন করছে ওয়াসা-তিতাস : মেয়র তাপস

উপকূলে মৎস্যজীবী নারীদের স্বীকৃতি নেই

ধামরাইয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা আগামীকাল শুরু

আইইউবিএটির নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রি-ইউনিভার্সিটি ইংলিশ কোর্স চালু

তাসনিম সিদ্দিকী : হাতেকলমে গবেষণা শেখানোর এক বিরল কারিগর!

রাজনৈতিক শুভশক্তির অনুপস্থিতি ও পথভ্রষ্টের অগ্রগতি

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘ল’ অ্যালামনাই রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই সমালোচনা করবেন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকায় ম্যানেজার নেবে মদিনা গ্রুপ

সিমেন্ট শিল্পের সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১০

নাফীসের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল বিসিবি

১১

মাসজুড়েই বন্যার শঙ্কা

১২

আবারও মহাসড়ক অবরোধ করলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

১৩

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে / চলমান শিক্ষক আন্দোলনের দ্রুত যৌক্তিক সমাধান জরুরি

১৪

কোয়ার্টারে ব্রাজিলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার রেফারি

১৫

তিস্তার পানির ব্যবস্থাপনায় পাশে থাকবে মোদি জানালেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

১৬

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেবে সেভ দ্য চিলড্রেন

১৭

চাঁদ জয়ের প্রস্তুতি নিতে শিশুদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

১৮

৬ষ্ঠ দিনেও আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

১৯

টিউলিপ কী মন্ত্রী হচ্ছেন?

২০
X