যুবদলের সদ্য কারামুক্ত সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, জেল-জুলুমের পরোয়া আমরা করি না। একটি অনির্বাচিত অবৈধ সরকার দেশের মানুষকে জেলে রেখে, অত্যাচারে করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার চক্রান্ত করছে। সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে আমরা তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবোই। যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি না পাবে, ততদিন আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
জামিনে কারামুক্তির পর বুধবার (৫ জুন) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, আজকে ক্ষুদ্র কারাগার থেকে বৃহৎ কারাগারে প্রবেশ করেছি। দেশনেত্রীকে দীর্ঘদিন কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশান্তরী করে রাখা হয়েছে। দেশের জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে বাক স্বাধীনতা। জাতিকে এসব থেকে উদ্ধার করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করবো ইনশাআল্লাহ। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কারামুক্তির পর যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেল গেটের বাইরে টুকুকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর গাড়িবহরসহ যুবদলের নেতাকর্মীরা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে নিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। সেখানে মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে যুবদলের নেতাকর্মীরা টুকুকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, কামরুজ্জামান দুলালসহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে টুকুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন টুকু।
জানা যায়, কারাগারে যাওয়ার আগে টুকুর বিরুদ্ধে ৩১৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলায় আদালত তাকে সাড়ে সাত বছরের সাজা দেয়।
মন্তব্য করুন