দেশের ওলামা-মাশায়েখদের বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি ও সরকারের দমননীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। প্রাইমারি স্কুলের পাঠ্যবইয়ে এমন সব কারিকুলাম আনছে যা আমার কালচারের বিরুদ্ধে, আমাদের কৃষ্টির বিরুদ্ধে, আমার ধর্মের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, আমরা বড় হয়েছি, ইসলামিক যে চিন্তাধারা সেই চিন্তা আমাদের ধর্মের মধ্যে বেরিয়েছে। আজকে সেখান থেকে সম্পূর্ণভাবে বের করে নিয়ে ধর্মহীন একটা রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
ওলামা দলের নতুন নেতৃত্বকে সারা দেশে সংগঠন শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেন বিএনপি মহাসচিব। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন ১৫৪টা নদীর হিৎসা, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সদস্যা, সীমান্ত হত্যা বন্ধে শেখ হাসিনার সরকারের ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম জামাল, আবদুল বারী ড্যানি, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকসহ ওলামা দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন যে, সাদা চামড়ার লোকেরা নাকি তাকে বলেছে যে, এখানে কোনো একটা দেশের এয়ারবেইস বানাতে। অর্থাৎ সেখানে তাদের জঙ্গি বিমান নামবে এয়ার বেইস হিসেবে তারা ব্যবহার করবে আর বাংলাদেশের একটা অংশ চট্টগ্রাম এবং মিয়ানমারের একটা অংশ নিয়ে নতুন একটা খ্রিষ্টান রাষ্ট্র তৈরি করবার তারা চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে এই মুহূর্তে জনগণের কাছে তার প্রকৃত ব্যাখ্যা তুলে ধরা। কারা চাইছে এবং কেন চাইছে? কেন তা এতদিন পরে প্রকাশ করছেন এটা আমরা জানতে চাই। কারণ এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। আপনাদের হাতে স্বাধীনতা আর কোনোভাবেই নিরাপদ না।
বাংলাদেশে ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটাধিকারের সেই অবস্থাটা আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষজন ভোট দিয়ে যাতে তার নিজস্ব পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারি তার ব্যবস্থা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা যেন করতে পারি সেজন্য আমাদের সংগ্রাম-লড়াই করতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই করতে হবে। সর্বোপরি দেশের মানুষকে মুক্ত করবার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে।
মন্তব্য করুন