বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ (একসেপ্ট ইসরায়েল) শব্দ মুছে ফেলা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (৩১ মে) এফডিসিতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ই-পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি বাদ দেওয়া খুবই দুঃখজনক। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করে।
পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করেছে বলে জানান সিলেট–১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয় বলে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হওয়ায় ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে শেখ হাসিনা অন্যতম হাতিয়ার হতে পারেন।
এই ছায়া সংসদের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজ দলের বিপক্ষে জয়ী হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দল। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারী, এ কে এম মঈনুদ্দিন, একরামুল হক ও মাসুদ করিম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন