জিয়াউর রহমানের ভাবনাকে নিজের ভাবনা হিসেবে মনে করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের দেশের স্বাধীনতা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছে। এ কাজই করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা যেমন দিয়েছেন, তেমনি রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বও দিয়েছেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এই দিনটিকে ‘শাহাদাত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান অনেক গুণের অধিকারী একজন নেতা ছিলেন। আমাদের তার দেশপ্রেম, সততা ও ন্যায়ের পথ অনুসরণ করতে হবে। জিয়াউর রহমানের ভাবনাকে নিজের ভাবনা হিসেবে মনে করতে হবে। যে জিয়া জনতার, সেই জিয়া মরে না।
তিনি বলেন, যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে- তাদের কথা ভাবেন, তাদের পরিণতি এখন ভাবেন। অথচ, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম শুনলে তাদের রাতে ঘুম হয় না। এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।
এ সময় জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম বলেছেন, জিয়াউর রহমান যদি ১৯৮১ সালে মারা না গিয়ে ‘৭৫ সালে মারা যেতেন, তাহলে বাংলাদেশ হয়তো আফগানিস্তান অথবা আফ্রিকার দেশগুলোর মতো হতো। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সফল এবং জনপ্রিয় নেতা। তার নেতৃত্বেই দেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন মাস্টারসহ স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য করুন