উপজেলা নির্বাচন সম্পূর্ণ ভুয়া ও জালিয়াতি উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই নির্বাচনে জনগণের কোনো ভূমিকা নেই। এ নির্বাচন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন। এখন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছামতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা দখলদার সরকার—এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই, এরা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নয়। তাই এদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
রিজভী বলেন, এখানে নির্বাচনের নামে শুধু আনুষ্ঠানিকতা, শুধু একটা প্রহসন। সরকার বাংলাদেশকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন আওয়ামী লীগের লোক, ক্ষমতাসীন দলের আত্মীয়স্বজন। আজকে দুবাইয়ে ৩৯৪টি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। প্রকল্প ব্যাংক পদ্মা সেতু লুটের টাকা দিয়েই তারা আজ বিদেশে বাড়ি করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে কী হচ্ছে জানতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, ব্যাংকে ঢুকতে সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা ঢুকে যাতে কোনো তথ্য জানতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছে ব্যাংক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ঢাকা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব সজীব রায়হান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, যুবদল নেতা মন্জুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, আশরাফুল আসাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা এসএম. আল মাহমুদ দিপু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইব্রাহীম চৌধুরীসহ নেতারা।
মন্তব্য করুন