জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তির দাবিতে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশের সব জেলা ও মহানগরে এবং পর দিন বুধবার (১ মে) দেশের সব উপজেলা ও পৌরশাখায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
টুকুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে দুপুরে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না।
এদিন সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুবদলের প্রাণপুরুষ সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর আন্দোলনের বিভিন্ন কৌশল দেখে স্বৈরাচারী সরকার ভয় পেয়ে তাকে রুখতে বিভিন্ন রকম কুটকৌশলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা কল্পিত গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। টুকুর অপরাধ তিনি এ দেশের গণতন্ত্রহীন যুবসমাজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দেশের যুবসমাজকে একত্রিত করে ভোটাধিকার বঞ্চিত তরুণ সমাজের ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে দাবি আদায়ে রাজপথে সরব থাকেন। যুবদল সভাপতি ব্যাংক ডাকাত, ভূমিদস্যু, বিদেশে টাকা পাচারকারী, ধর্ষকদের বিচার দাবি করেন।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুবদল এ দেশের কোটি যুবকের গণতান্ত্রিক যুব সংগঠন, একজন টুকুকে গ্রেপ্তার করে যুবদলের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা যাবে না। গত দুই দশক ধরে যুবদলের ওপর স্বৈরাচারী সরকার গুম, খুন, জেল জুলুমসহ এমন কোনো নিপীড়ন নেই যা করেনি। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার আদায়ের দাবি থেকে আমাদের ফিরাতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রাপ্তি থেকে এই সরকার বঞ্চিত করছে। অন্যদিকে সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাত, খুনিরা রাষ্ট্রের সব সুবিধা পাচ্ছে। দেশ এভাবে চলতে পারে না, পারবে না, চলতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রবঞ্চিত, ভোটবঞ্চিত যুব ও তরুণ সমাজের চলমান আন্দোলনের মাধ্যমেই এই স্বৈরাচারের পতন ঘটানো হবে।
মন্তব্য করুন