বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতিতে বর্তমান সময়ে যত স্বৈরাচার আছে তাদেরকে বিচার বিশ্লেষণ করলে গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে পদার্পন করার এবং ভোট চুরির যতরকম কায়দা কানুন আছে তা প্রয়োগের বিবেচনায় আওয়ামী লীগ সকলের কাছে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসী সাজা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। আমাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে এবং চলবে। যারা ক্ষমতায় আছে বলে দাবি করে তারা জোর করে ক্ষমতায় আছে। তারা জনগণের সরকার নন। নিজেদের স্বার্থ বিকিয়ে অন্যের সাহায্যে ক্ষমতায় আছে। যেসব দেশের সহায়তায় ক্ষমতায় আছে তাদের প্রত্যেককে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে। জনগণ এটা মানবে না। জনগণের আন্দোলন আরও বেগবান এবং সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি এবং জনগণও আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। তবে কিছু সময়ের প্রশ্ন থাকে। তাদের পতন হতেই হবে। জনভিত্তিহীন আওয়ামী ডামি সরকার কোনো দিক দিয়ে সফল হতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ভাবে বাড়ছেই। তারা দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচারের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আসলে কোনো কিছুর ওপরই তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ডেইলি নিউনেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, পিপলস পার্টির সভাপতি বাবুল সর্দার চাখারি, বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মোস্তফা তারিকুল হাসান, ইসলামী সমাজের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ ইয়াসিন, লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইউসুফ আলী, জহুরা খাতুন জুঁই, আমিনুল ইসলাম রাজু, যুগ্ম মহাসচিব মো. হেলাল চৌধুরী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মো. মনির হোসেন খান, অর্থ সম্পাদক মো. লিটন সিকদার, নগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেন, ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মো মিলন, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মো. সাকিল হোসেন, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন