কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বুয়েট ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান কমে যাচ্ছে : জি এম কাদের

মঙ্গলবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির পরিচিতি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ছবি : কালবেলা
মঙ্গলবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির পরিচিতি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ছবি : কালবেলা

বিরোধীদল নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, শিক্ষার মান ঠিক রাখতে না পারলে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি বাদে আমাদের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির পরিচিতি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বুয়েটের শিক্ষার মান নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না এমন আহ্বান জানিয়ে বিরোধী দলের নেতা বলেন, বুয়েটের ছাত্ররা যেন ছাত্র থাকে। বুয়েটে ছাত্র অবস্থায় আমি রাজনীতিবিদ হয়নি, পাশ করে রাজনীতিবিদ হয়েছি। সবার কাছে আহ্বান রাখছি, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।

তিনি বলেন, দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ক্রয়কৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ৫ বছরেই শেষ। বাকি ৪০ হাজার ভোটিং মেশিনও অকেজো হওয়ার পথে। বেশির ভাগ ইভিএম-ই এখন অকেজো। শেষ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধীনে কেনা ইভিএম সম্পদের বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জার্মানির তৈরি দুটি পাইপ কাঁটারের দাম দেখানো হয়েছে ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, একইভাবে জার্মান কোম্পানির দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৫৬ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি এমন তথ্য তুলে ধরে জি এম কাদের বলেন, গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে বিশেষ বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ১৭ প্রতিষ্ঠান। তবে এরপর থেকে ডলার-সংকটের কারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে অনুমোদন পেয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। তবে বিদেশে দ্বিতীয় নিবাস গড়ার জন্য কাউকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে বাংলাদেশিরা কীভাবে মালয়েশিয়া দ্বিতীয় নিবাস গড়ল। কীভাবে টাকা নিয়ে গেল? এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

দেশে মানুষের জীবন ও ব্যক্তিগত সম্পদের নিরাপত্তা নেই মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, দেশের শাসনকার্যে দৃশ্যমান ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শাসনকার্য ভালোভাবে চলছে না, অর্থাৎ সুশাসনের অভাব। সরকারি দলের মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্নভাবে বিচার বা শাস্তি এড়িয়ে যাচ্ছেন। সরকারের সঙ্গে কিছু লোক আইনের উর্ধ্বে অবস্থান করছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, বর্তমান সময়ে দুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমন হচ্ছে।

জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম শাহারিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, ড. নূরুল আজাহার শামীম, নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান সফিউল্লাহ শফি, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. বেলাল হোসেন, আব্দুল হামিদ ভাসানী, সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, মো. মিজানুর রহমান মিরু, এলাহান উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন হেলাল, আজাহারুল ইসলাম সরকার, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, সামসুল আলম লিপ্টন, দ্বিন ইসলাম শেখ প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত 

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

আজকের নামাজের সময়সূচি

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

১০

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

১১

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

১২

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

১৩

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

১৪

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১৫

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১৬

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১৭

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১৮

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৯

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

২০
X