১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্ররা দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে চায়। তারা জ্ঞানের চর্চায় বিশ্বাসী, তারা ভবিষ্যতের জন্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে চায়। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক অভিভাবক, শিক্ষক এবং রাজনীতিবিদদেরও তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন দেওয়া উচিত।
সোমবার (১ এপ্রিল) জোটের সমন্বয়ক এহসানুল হুদা প্রেরিত এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাদের এ সমর্থন জানান।
নেতারা বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্রদের দাবির প্রতি ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা গুন্ডাতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে মেধা এবং সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন, তাদের নানা ধরনের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন-অত্যাচার, ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনকে থাকতে না দেওয়া এবং নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররা না, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে ওঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জোটের নেতারা বলেন, আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে চরদখলের মতো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েট ক্যাম্পাস দখলের পাঁয়তারা করছে। এহেন পরিস্থিতিতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং যে কোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশে একদলীয় শাসনের অবসান ও গুন্ডাতন্ত্রের করাল গ্রাস থেকে ছাত্র রাজনীতিকে বাঁচাতে এবং মেধার বিকাশ ঘটাতে ১২ দলীয় জোট সোচ্চার থাকবে বলেই মতামত ব্যক্ত করেন নেতারা।
মন্তব্য করুন