আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি।
সোমবার ‘২৫ মার্চ-গণহত্যা দিবস’ স্মরণে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা কীসের মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির কারণে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা (বিএনপি) ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যে গণহত্যা হয়েছে, একদিনে এত বড় হত্যা ইতিহাসে বিরল। রিকশাচালক, পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সকল গণহত্যার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছিল, যারা সবুজ পতাকার বদলে পাকিস্তানি চার তারকা চেয়েছিল, বেগম খালেদা জিয়া সেই জামায়াতে ইসলামি নেতাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। যারা লাল-সবুজ পতাকা চায়নি, তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিল। যেখানে ত্রিশ লাখের তুলনায় আরও কম মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, সেগুলোও স্বীকৃতি পেয়েছে। ’৭৫-এর পরবর্তীতে গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াই ত্রিশ লাখের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন