বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়নি। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া স্বীকৃত এবং স্বঘোষিত খুনিদের নাগরিকত্ব, মন্ত্রীত্ব সবই দিয়েছে। আজকে যে দল গণতন্ত্রের জন্য কান্না-কাটি করে তারা নিজেরাইতো হত্যাকারীদের প্রশ্রয় বা সমর্থন দিয়েছে। আর আমাদের শেখ হাসিনা জন্মেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) পল্লবী বাউনিয়াবাদ ঈদগা মাঠে ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে এদেশের দুঃখী-দরিদ্র, বঞ্চিত মানুষদের আরও বঞ্চিত করেছে। বাংলাদেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে এটা তাদের বদলা। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যই হচ্ছে এদেশের জনগণের ওপর অত্যাচার করা ও বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।
পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত ২৫ মার্চের কালরাত। শুধু ১৯৭১-এর এ ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনাবিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী- যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ওই দিনের হত্যাকাণ্ডে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল।
তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ওই সব হায়েনাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহসভাপতি মজিবুর রহমান বাবুল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল পারভেজ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।
মন্তব্য করুন