ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের লড়াই সহজ নয়।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। এ আন্দোলনে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ রকম একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করতে হচ্ছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে এসব কথা বলেন ফখরুল। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিএনপি মহাসচিব দীর্ঘ ১৪৮ দিন পর মাঠের কর্মসূচিতে সক্রিয় হলেন। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পরদিন গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।
মির্জা ফখরুল সরকারকে হটাতে মানুষের মনের ক্ষোভকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে হবে। তাহলেই গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেবে। তিনি ছাত্রদল নেতাদের শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল গণমানুষের যুদ্ধ। এ দেশের সাধারণ মানুষ এই যুদ্ধ করেছে, কিন্তু একটি দল এই যুদ্ধের কৃতিত্ব নিতে চায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনও ব্যর্থ হবে না। হতাশ না হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক ও অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন,যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
মন্তব্য করুন