বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে নিজের দেওয়া ‘গত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য অনেকে লাইন দিয়েছিল। হিসাব মেলেনি বলে নির্বাচনে আসেনি। বেশি কথা বললে গোমর ফাঁস করে দেব’ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি নেতারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন আইনগত ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা আইনগত ব্যবস্থা নিক। আমি বসে আছি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে গত নির্বাচনে অংশ নিতে অনেকেই লাইন দিয়েছিল। অনেকের হিসাব মিলেনি। পরে ভিন্ন পথে হেঁটেছে। কারও যখন গোমর ফাঁস হওয়ার ভয় থাকে, তখন এ রকম কথা সবাই বলে। তারা আইনগত ব্যবস্থা নিলে নিতে পারে। আমি সেটার জন্য প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, যারা এ সমস্ত কথা বলে তাদের নেতারা বিভিন্ন দল করত। জয়নুল আবদীন ফারুক নিজেও আগে ছাত্রলীগ করত। পরে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়ার জন্য বিএনপিতে গেছে। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগীরা নানা কথাই বলবে।
বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, দেখা যায় তারাই ইফতারে ভারতের পেঁয়াজের পিঁয়াজু খায়। তাদের স্ত্রীরা ভারতের শাড়ি পরে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া মেজর হাফিজ কয়েক দিন আগে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করে এসেছে। বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা।
সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাশিয়া ও চীনের ভেটোদানে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে যেভাবে শিশু, নারী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে সেটি মানব সভ্যতার জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এখনই যদি আমরা এটি বন্ধ করতে না পারি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়ী হয়ে থাকব। আমরা প্রতিনিয়িত এ নিয়ে মনোবেদনায় ভুগছি এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এর প্রতিবাদ অব্যাহত আছে। যুক্তরাষ্ট্রে, কানাডায়, যুক্তরাজ্যে, আয়ারল্যান্ডে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবাদ চলছে। কারণ মানুষ এই অপরাধের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছিল, কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের মতে সেই প্রস্তাবে কিছু ত্রুটি ছিল। রাশিয়া ও চীনের ভেটোদানের কারণ বোধগম্য নয়, কিন্তু আমরা চাই অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি হোক, এই বর্বরতা বন্ধ হোক।
মন্তব্য করুন