বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা কথা বলছে- এমনকি পণ্যের দাম বেঁধেও দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা না নেওয়ায় বাজার চলছে তার ইচ্ছামতো। মুক্তবাজারের নামে বাজার সিন্ডিকেটের গুটিকয়েক মানুষ, চাঁদাবাজ কমিশনভোগীদের পকেটে যাচ্ছে জনগণের টাকা। আর এসব হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে।
রোববার (১৭ মার্চ) সিপিবি কার্যালয়ে বাম জোটের সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানো, ‘উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা’, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আমদানিকৃত পণ্যের বাফার স্টক গড়ে তোলা, সারা দেশে সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা ছাড়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দক্ষ দুর্নীতিমুক্তভাবে এসব কাজ করতে হবে।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও ধাপে ধাপে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়ার কথা বলে এই মূল্যবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দায়মুক্তি দিয়ে, অহেতুক, অযৌক্তিক উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির দায় জনগণের নয়। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের গণবিরোধী পদক্ষেপের জন্যই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর সাথে জড়িত নীতি প্রণেতা, দুর্নীতিবাজ ও কমিশনভোগীদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে আরও দাম কমানো এবং সারা দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবেই বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিও জানানো হয় সভা থেকে।
সভায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখার ও বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম কমানোর দাবিতে আগামী ২০ মার্চ, রাজধানীর কারওয়ানবাজারের সামনে, ২৩ মার্চ, মিরপুর-১০ নম্বর ও ২৪ মার্চ, শান্তিনগর বাজারের সামনে বিক্ষোভের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক তৈমুর আলম খান অপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য নজরুল ইসলাম, বাসদের নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি নেতা ডা. সাজেদুল হক রুবেল, সাইফুল ইসলাম সমীর, মঞ্জুর মঈন, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা আক্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির রুবেল শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন