বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। পাশাপাশি আবেদনে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পৌঁছেছে আবেদনটি।
আগামীকাল সোমবার (১৮ মার্চ) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে সূত্র জানিয়েছে।
সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আবেদনের বিষয়ে আইনগত মতামত নিতে স্বরাষ্ট্র থেকে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আগামীকাল (সোমবার) আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। প্রথমটি হলো- তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন