বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ইতোমধ্যে বিতর্কিত করা হয়েছে। তবে বাঙালি সংগ্রামী জাতি, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ হোক কাল হোক, সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণ আবার তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ ফিরে পাবে। এই সংগ্রামে বিএনপি নেতৃত্ব দেবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপি গঠিত স্বাধীনতা উদযাপন কমিটির আলোচনা সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে ইতোমধ্যে বিতর্কিত করা হয়েছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিদের কবিতার মতো ইতিহাসও রচিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৮০ থেকে ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হলেও এখন আড়াই লাখ মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জন্য দায়ী। ২৫ মার্চের পর শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। এটি খুব কঠিন। লাখ লাখ মানুষ তার জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এই অংশটি সম্পর্কে শাসক দল নীরব। কারণ সেখানে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।
জেড ফোর্স’র অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান অসীম সাহসী ছিলেন। তবে এখনকার শিশুদের মনে এই ধারণা দেওয়া হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন পাকিস্তানের এজেন্ট। অথচ আমি এখনও জীবিত আছি। আমি মেজর জিয়াউর রহমানের অধীনে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা যদি প্রতিরোধ যুদ্ধে অবতীর্ণ না হতেন। তবে আজও দেশ পাকিস্তান থাকত। কারণ পাকিস্তানের বর্বর বাহিনীর অস্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর মতো নিরস্ত্র বাঙালির কাছে কোনো হাতিয়ার ছিল না। আমরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই।
একটি রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বকে বড় করে দেখানোর জন্য দেশের সাধারণ মানুষদের অন্ধকারের রাখা হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবশ্যই রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব আছে। স্বীকার করি। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন পর্যায় যেখানে জীবন দিতে হয়, সেখানেই এগিয়ে এসেছে বাঙালি সৈনিকরা। মুক্তিযুদ্ধে ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রমকে ও সদস্য সচিব বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
এ ছাড়া সদস্য রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সিলেট বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
মন্তব্য করুন