জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।
সোমবার (১১ মার্চ) বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও ধাপে ধাপে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে এবং বিদ্যুৎ খাতের বিপর্যয়, সংকটের জন্য দায়ীদের চিহ্নিতসহ বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভের আয়োজন করে বাম জোট।
প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর জ্বালানি মন্ত্রণালয় অভিমুখে বাম জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পল্টন মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। তারা পল্টন মোড়ে বসে সমাবেশ করেন।
একারণে প্রেস ক্লাব থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘণ্টাব্যাপী দুর্ভোগ পোহাতে হয় পরিবহন যাত্রীদের। একপর্যায়ে পুলিশ গুলিস্তানমুখী যানবাহন ঘুরিয়ে দেয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।
সমাবেশে নেতারা শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি বাধা ও দুর্ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, জনগণের দাবির মিছিল না ঠেকিয়ে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করুন। বিদ্যুৎ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যাদের নীতির কারণে আজ বিদ্যুৎ খাত জনগণের এবং জাতীয় অর্থনীতির গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করুন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
নেতারা বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে ভূমিকা নেয় এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং তারা বিদেশি কোম্পানি ও দেশি-বিদেশি লুটেরা ব্যবসায়ীদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বেতনভাতা জনগণের টাকায় হলেও তারা আজ লুটপাটকারীদের সহায়কের ভূমিকা পালন করছে।
মন্তব্য করুন