কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রওশনের নতুন কমিটি নিয়ে মুখ খুললেন চুন্নু

কাদেরপন্থি জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি : সংগৃহীত
কাদেরপন্থি জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পার্টি (জাপা) দশম সম্মেলন করেছেন রওশনপন্থিরা। পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। নতুন কমিটিতে নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন পেয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী মামুনুর রশীদ। তবে এতে দল ভেঙেছে বলে মনে করেন না কাদেরপন্থি জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে দলের দশম সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।

কাদেরপন্থি জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, দল ভাঙেনি। দল থেকে বহিষ্কৃতরা আলাদা দল করেছে। জাতীয় পার্টি নামে অনেক দল হতে পারে কিন্তু জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আমরাই মূল জাতীয় পার্টি।

বহিষ্কৃত ছাড়াও অনেকে কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন—এ প্রসঙ্গে চুন্নু বলেন, বহিষ্কৃত ছাড়া যারা ছিল তারা আমাদের দলে অনেক দিন ধরেই নিষ্ক্রিয়।

এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট নিজেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন পার্টির তৎকালীন প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। পার্টির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ ও সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন তিনি।

ওই সময় প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছিলেন, ‘উনি (রওশন এরশাদ) দলের কেউ না। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। তিনি কী করলেন, না করলেন সে নিয়ে আমাদের চিন্তা নেই।’

১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। এরপর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে অন্তত ছয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলটি। তারপর থেকে এরশাদ-রওশন ও জি এম কাদের বলয়কেই জাপার মূল ধারা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা শাসক এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই নেতৃত্ব নিয়ে রওশন, কাদের অর্থাৎ দেবর-ভাবির মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোন্দলের মাত্রা চরমে ওঠে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা সরাসরি পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে সভা ডেকে ফল বিপর্যয়ের জন্য দোষারোপ করেন। তাদের পদত্যাগও চান পরাজিত প্রার্থীদের অনেকেই। এ ঘটনা কেন্দ্র করে দলে থাকা দীর্ঘদিনের মিত্রদের একে একে বহিষ্কার করেন জি এম কাদের। এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে জাপার স্বঘোষিত চেয়ারম্যান হন রওশন এরশাদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে : মিয়া গোলাম পরওয়ার

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান চরমোনাই পীরের

সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মচারীদের

আইনজীবী আলিফ হত্যায় জড়িতদের নিয়ে ইসকনের বার্তা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় রকেট ফ্লেয়ার ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই ব্যবসায়ী আটক

এজলাসে ডিমকাণ্ড / জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

এবার প্রকাশ্যে মাভাবিপ্রবিতে ছাত্রশিবির

ফেলে দেওয়া সিগারেটের ফিলটার থেকে তৈরি হচ্ছে খেলনা

নিখোঁজ নাইমুরের সন্ধান চায় পরিবার

হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১০

‘দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তোলা সম্পদ জনগণকে ফেরত দিতে না পারলে কিসের বিপ্লব’

১১

ইমরান খানের স্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর করল পিটিআই কর্মীরা

১২

এখনও যেভাবে নকআউট পর্বে যেতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ

১৩

‘৩০ বছর ঢাকা যাই না, আমি নাকি মিরপুরে কার পায়ে গুলি মারছি’

১৪

৩০ কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিল ‘বিনা’

১৫

পটুয়াখালীতে ছাত্রদল নেতাকে পিষে দিল ট্রাক

১৬

অপরাধীরা চিহ্নিত, আগামী সপ্তাহ থেকে অ্যাকশন : ন্যাশনাল ব্যাংক

১৭

ডিএমপির ৬ কর্মকর্তাকে বদলি

১৮

রাজশাহীতে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৩

১৯

দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন

২০
X