কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, ১১:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে তথ্যমন্ত্রী

‘জিয়া-খালেদার বর্বরতার শিকারদের আর্তনাদ শুনুন’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধনটির আয়োজন করা হয়। ছবি : কালবেলা
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধনটির আয়োজন করা হয়। ছবি : কালবেলা

দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা এবং বন্ধুরাষ্ট্রকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আমলের বর্বরতার শিকার এবং তাদের স্বজনদের কান্না শোনার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সেটি সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২০১৩-১৪-১৫ সালে পেট্রলবোমা হামলায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের সংগঠন ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ এবং ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে বিনা বিচারে নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের নির্মমতায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। হাজার হাজার সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করে, পরে রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাতের বেলায় ঘুমন্ত অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে ঢুকিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

‘নামের মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ভুল অফিসারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তিনি আর্তনাদ করে বলেছিলেন, ‘আমি নই-আমি নই, এটা আমি নই’, কিন্তু কে শোনে কার কথা। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই নির্মমভাবে নিহতদের সন্তানেরা আজ ‘মায়ের কান্না’ ব্যানারে কান্নারত।

তিনি বলেন, বয়োবৃদ্ধ সার্জেন্ট কামাল আজ বক্তব্য রেখেছেন, তিনি নিজেই অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার। যারা রাজনীতি জানে না, রাজনীতি বোঝে না, রাজনীতি করে না সেই নিরপরাধ সাধারণ মানুষ যারা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছিল, এমন শতশত মানুষ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে রেহাই পায়নি। খালেদা জিয়া-তারেক জিয়ার সন্ত্রাসী-পেটুয়াবাহিনী মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ এদের নেতাদের পরিচালনায়, অর্থায়নে, নির্দেশে তাদের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল।’

মন্ত্রী বলেন, আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়, যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করা হয়েছিল তখন তারা কোথায় ছিল প্রশ্ন রেখে আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, একজন মানুষের বাবা বা আত্মীয় পরিবার পরিজনের হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল?

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাড. জেসমিন সুলতানা, ঢাবির ফার্মাসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ‘মায়ের কান্না’র উপদেষ্টা প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদে’র আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবু, ‘মায়ের কান্না’র আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেলিন, মানববন্ধন সমন্বয়ক রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X