জ্বালানির দাম কমানো নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, পেট্রলের দাম কমানো হলো তিন টাকা আর অকটেনের দাম কমাল চার টাকা। প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত।
শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন আয়োজিত এক সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিজেদের কাছে নিজেদেরকে সংকুচিত হতে হয়। তারা (সরকার) বলে রোজার মাসে কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। তারা কিন্তু সত্যি কথাই বলেছেন। তারা (সরকার) রোজার তিন মাস আগে থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতেই থাকে। এরপর আর রোজার সময় দাম বাড়ায় না। তার মানে আওয়ামী লীগ তার ওয়াদা ঠিক রাখে। তিনি বলেন, দেশটাকে এমন এক অরাজকতার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো পাড়া-মহল্লা, কোনো এলাকা এমনকি কোনো প্রতিষ্ঠানে পর্যন্ত এখন আর ভোট অনুষ্ঠিত হয় না। সব আওয়ামী লীগের লোকেরা দখল করে নিয়েছে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি নাসির উদ্দিন বেপারীর সভাপতিত্বে এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন খানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির, সাবেক ছাত্র নেতা এজমল হোসেন পাইলট, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসা ফরাজী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন