সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না অভিযোগ করেছে খেলাফত মজলিস। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এক বিবৃবিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সরকারের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছর রমজান কাছাকাছি আসলে এদেশে সিন্ডিকেট চক্র যেভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে তাতে মনে হয় দেশে প্রশাসন বলতে কিছুই নেই। দলীয় পরিচয়ে বেড়ে উঠা এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা সর্বদা সরকারি আনুকূল্য পেয়ে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠে। একদিকে এই চক্র মানুষকে জিম্মি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করছে অন্যদিকে ভ্যাট/ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়ে সরকার তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে।
নেতারা বলেন, খেজুরের মত ইফতারের নিত্য অনুষঙ্গ ও পুষ্টিকর ফলের আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে এর দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পমন্ত্রী সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে খেজুরের বিকল্প হিসেবে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা মূলত খেটে খাওয়া রোজাদার মানুষদের সঙ্গে উপহাসের শামিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি জনজীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে। সরকার না পারছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে। কোনো অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার জাতি এখনও দেখতে পায়নি। ক্ষতিগ্রস্তরাও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি। অবিলম্বে মাহে রমজানের পূর্বেই দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন অপতৎপরতা সরকারকে অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ’র সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ ফরিদ, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম, আবু সালেহীন, আবদুল হাফিজ খসরু, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবদুল হক আমিনী, জহিরুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নুর হোসেন, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আবুল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন