পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ আদায় এবং দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম জোটের সংগঠনগুলো এ দাবি জানায়।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম, বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধরণ সম্পাদক মোশরেফা মিশুসহ বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, লুটেরাদের প্রশ্রয় দিয়ে ব্যক্তি খাত গড়ে তোলা যায় না। এটা হয় স্বজন তোষণমূলক পুঁজিবাদ। এই ব্যক্তি খাত দাঁড়ায় না।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ কম দেখানোর জন্য নানা পদ্ধতি বের করা হয়। এতে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় না। খেলাপি ঋণ বেড়ে চলে, চলছে। এর মধ্য দিয়ে প্রকৃত শত্রুদের আড়াল করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এদের শক্তির উৎস ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এখন এসব দল এদের পক্ষে চলে গেছে। তিনি খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা প্রকাশ, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং এদের বিদ্যুৎ, পানির লাইন কেটে দেওয়ার দাবি জানান।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনার দায় বাংলাদেশ ব্যাংক এড়িয়ে যেতে পারে না। তিনি দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেশপ্রেমিক অর্থনীতিবিদদের পরামর্শে পরিচালনায় আহ্বান জানান।
খেলাপি ঋণ আদায় ও পাচারের টাকা ফেরত আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ৭ দিনের মধ্যে খেলাপিদের তালিকা ও ঋণ অনুমোদনের সাথে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এই অবস্থান হলো জনগণের পার্লামেন্ট, এখানে জনগণের কথা বলা হলো। এরপর দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামনে অবস্থান করা হবে।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সরকার শুধু লুটেরাদের পাহারাদার নয়, এরা এই লুটের অংশীদার। তিনি পাচারের টাকা ও খেলাপি টাকা উদ্ধার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন