খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বর্তমান শিক্ষানীতি ও পাঠ্যক্রম নিয়ে পুরো জাতি উদ্বিগ্ন। নতুন পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য পাঠ্যক্রমে শরীফার গল্প ঢোকানো হয়েছে। শিক্ষায় নৈতিকতার সংকটের ফল হচ্ছে সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীর ওপর পৈশাচিতকতার ঘটনা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিজয়নগরস্থ মজলিস মিলনায়তনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরনের বিবর্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না। এ অনৈতিক শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখন মিয়ানমার সীমান্তেও বাংলাদেশি নাগরিকরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। বর্তমান সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির করণে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ইতিহাসের সমস্ত গণহত্যার নজির ছাড়িয়ে গেছে। ফিলিস্তিন নাগরিকদের ওপর এ জঘন্য গণহত্যা পরিচালনায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এ জঘন্য গণহত্যার জন্য ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল।
বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা নূরুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ ভুঁইয়া, আলহাজ মো. আবদুল রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক মুফতী সাইফুল হক, বায়তুলমাল সম্পাদক মুহা. সেলিম হোসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাস্টার কেতাব আলী মল্লিক, সহবায়তুলমাল সম্পাদক আব্দুল হান্নান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবিএম শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা অলিউল্লাহ, নজরুল ইসলাম ভূইয়া, হাফেজ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা ফরিদ আহমদ হেলালী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন