বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান অভিযোগ করে বলেছেন, ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটের ফলাফল সব নির্ধারিত হয়েছে ঢাকার একটি উচ্চপর্যায়ের টেবিল থেকে। কে কত ভোট পাবে, কে কে নির্বাচিত হবে সবই।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও ভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি। এর আগে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর বেলা পৌনে ১১টার দিকে তালা ভেঙে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মঈন খান বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সরকার বেদখল করে নিয়েছিল ২৮ অক্টোবর ক্র্যাকডাউন করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ মৃত। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লাখ লাখ মানুষ নিজেদের রক্ত দিয়েছি, এ অবস্থার জন্য নয়। সরকার বিশ্বাস করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায়।
বিএনপির এ নীতি-নির্ধারক বলেন, এ দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলেছে এ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, সুষ্ঠু হয়নি। অনেক সংস্থা বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে হয়নি। সাজানো নাটক করে যে নির্বাচনের আবহ তৈরি করেছে- তা বিশ্বে প্রমাণিত হয়েছে। এটা স্পষ্ট হয়েছে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটারে ফলাফল সব নির্ধারিত হয়েছে ঢাকার একটি উচ্চপর্যায়ের টেবিল থেকে । কে কত ভোট পাবে, কে কে নির্বাচিত হবে।
মঈন খান বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি, থাকব। আমরা ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের জন্য রাজনীতি করি। একটা সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করবো, ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব রহমান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন