বাংলাদেশ স্যাংশন পাওয়ার মতো কোনো অন্যায় করেনি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় অর্থমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ কোনো অন্যায় করে নাই। ফলে বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণও নেই। এরকম কেউ কিছু করলে সেটা হবে জোর করে করা। কেউ জোর করে করলে করতেই পারে। বাংলাদেশও সেরকম করতে পারে।
আগামী সরকারের করণীয় প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি ঠিক রাখা। এ জন্য সরকারকে অর্থনীতির সম্ভাবনাময় খাতগুলো উন্মোচন করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেকগুলো এলাকা আছে। যে এলাকগুলো এখনো পূর্ণ মাত্রায় উন্মোচন করা হয়নি। অনেক কম্পনেন্ট আবিষ্কার হয়নি। এসব বিষয়ে সরকারকে আরও কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সেজন্য যেসব জায়গায় এখনো এক্সপ্লয়েট করা হয়নি সেগুলো করতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহ নিয়ে সরকারের বড় চিন্তা রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ। নেট অথবা গ্রস যে কোনো রিজার্ভ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এবছর সবসময় রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার রাখব।
মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক ঋণ বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সমান নয়। ফলে এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এর বাইরে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস থেকে আয় হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে অনেক রিফর্ম হয়েছে। ব্যাংক খাত অনেক ভালো আছে। দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো আগামীতে দেখা হবে। বাংলাদেশ এগোচ্ছে। এগোবে। এনপিএল এখন কম। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ ২০তম অর্থনীতি হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি না হলে অর্থনীতি এগোবে না। যারা অর্থনীতি নিয়ে গভীরভাবে ভাবে না, তারাই মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন।
কিন্তু মূল্যস্ফীতি তো অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বছর ৬ শতাংশের নিচে ছিল। এর থেকে ভালো অবস্থা হতে পারে না।
নতুন সরকারে অর্থমন্ত্রী কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী কে হবেন সেটা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন।
মন্তব্য করুন