দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘একতরফা’ আখ্যা দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন গণকারফিউ পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, আমরা জনগণকে বলব আগামী ৭ তারিখ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণকারফিউ পালন করুন, ঘর থেকে কেউ বের হবেন। আগামীকাল শনিবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া হরতালেও আপনাদের নৈতিক সমর্থন চাই আমরা।
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকে ‘একতরফা-ডামি’ নির্বাচন বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড় সংলগ্ন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গণঅধিকার পরিষদের গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর।
সমাবেশ শেষ গণমিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে হয়ে প্রেস ক্লাব ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, সমাবেশ শুরুর আগে রিকশাওয়ালা মাইক নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে রিকশাসহ মাইক নিয়ে যায় পুলিশ।
গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে আফ্রিকা অঞ্চলের মতো ব্যর্থ-অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এই সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন আয়োজন করছে। দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী জনগণ এই ভাগবাটোয়ারার নির্বাচন বর্জন করেছে। কোনো বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা ক্ষমা করে দিতে চাই, মহব্বতের সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। সেজন্য আপনাদের একতরফা নির্বাচন থেকে সরে আসতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভেঙে বাড়তি খরচ মেটাচ্ছে, অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে আর সরকারি দলের লোকেরা উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে। ১৫ বছরে দেশের ১৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। লাঙ্গল, নৌকা, ট্রাক, ঈগল সবই শেখ হাসিনা মার্কা। কাজেই স্থানীয় সম্পর্ক কিংবা প্রভাবে বা এক-দেড় হাজার টাকার জন্য কেউ ৭ তারিখ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন