লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ২০২৪ সালে মন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষমতায় গেলে গজব হবে। ১৯৯৬ সালেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার প্রতিনিধি আমাকে বেগম জিয়ার স্থানে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার ওয়াদা করিয়েছিল। কিন্তু আমি সম্মত হয়নি এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেইমানি করিনি। ২০১৪ সালেও আমাকে প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। সেজন্যই আমি বলব- এই নির্বাচনকে বর্জন করুন। ঘরে বসে থাকুন, ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভোট দেওয়া মানে আত্মহত্যার শামিল। সুতরাং ইচ্ছা করে নিজের গলায় নিজে ছুরি চালাবেন না।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অলি আহমদ বলেন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন সংসদ সদস্য হয়ে যায়। সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নিয়ম রক্ষার জন্য নির্বাচন করছেন। ছয় মাসের মধ্যেই তিনি নতুন নির্বাচন দেওয়ার কথা বললেও তা জাতি দেখেনি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের ফাঁদে পড়ে বিএনপি ভোটে গিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ জিতে ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করে। ফলে দেশ ও জনগণের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়েছে।
ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে অলি আহমদ বলেন, বাংলাদেশকে বিদেশিদের হাতে বন্ধক দেওয়া হয়েছে। প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। জনগণ যাকে চায়, তারা পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেবে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রত্যেকের ঘরে গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে মামলা হামলা করবে বলা হচ্ছে। গরিবদের ৫০০ ও ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা যারা নির্বাচনী দায়িত্বে তাদের বলা হয়েছে ৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট করতে হবে। হাজার কোটি টাকা বিরতণ করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অবস্থা হেফাজতের থেকে খারাপ হবে। জামায়াতের মতো অবস্থা করতে চেয়েছিল ২৮ অক্টোবর। আব্দুর রাজ্জাক (কৃষিমন্ত্রী) বলেছে বিএনপিকে সাজা না দিলে ভোট করতে পারত না। সবাইকে জেলে নিক্ষেপ করা হয়েছে। দেশকে ও দেশের জনগণকে বাঁচান। ভাগাভাগি বন্ধ করেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোট দেওয়া হলো দেশের আত্মহত্যা করা। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি রক্ষার জন্য জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসুন। আইন ও সংবিধান মেনে এই নির্বাচন বর্জন করুন। নয়তো আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
অলি আহমদ বলেন, দেশের মানুষের কঠিন অবস্থা তৈরি হয়েছে। অনেকেই আছেন দুই বেলা ঠিকমতো খেতে পারেন না।
মন্তব্য করুন