গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের নামে তামাশার আয়োজন করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি তারা ভোট নয়, ফলাফল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এই ঘোষণা এ দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না, সারা দুনিয়ার কোথাও গ্রহণযোগ্য হবে না।
‘একতরফা’ ভোট বর্জনের আহ্বানে আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে গণসংযোগমিছিলপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এবং সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তরিকুল সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
নেতারা বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে স্বেচ্ছা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ৭ তারিখ সরকার ও প্রশাসন মিলে এ দেশের মালিক নাগরিকদের আবার অপমান করতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একইভাবে অপমান করেছিলো। ভোটকেন্দ্রে মানুষ আনার জন্য আইন-আদালত, হুমকি-ধমকি ও টাকার লোভ দেখাচ্ছে। তারা সকল ভয়-ভীতি, দমনপীড়ন মোকাবিলা করে জনগণকে ঐক্য বজায় রাখা এবং ৭ তারিখ ভোট বর্জনের মাধ্যমে নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
নেতারা সেগুনবাগিচা স্কুলের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মিছিলে আওয়ামী লীগের হামলা ও ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ ছাড়া ১২ দলীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি প্রভৃতি দল পল্টন মোড়, তোপখানা রোড ও বিজয়নগর সড়কে গণসংযোগ ও পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে।
মন্তব্য করুন